• নদী পারাপারে নৌকাই ভরসা, ইটাহারের মারনাই ঘাটে সেতুর দাবি তুলল পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ইটাহার: ঋতু বদলায়, ভোগান্তি আর কমে না। গ্রীষ্মকালে ভরসা বাঁশের মাচা। বর্ষায় নদীর জলে সেই মাচা ভেসে যাওয়ায় নির্ভর করতে হয় নৌকার উপর। তখনও ওপারে নৌকা থাকলে অপেক্ষা করতে হয়, কখন সেদিক থেকে কেউ এপারে নিয়ে আসবেন।

    ইটাহারের মারনাই ঘাটে সুই নদী পারাপারে নিত্যদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন প্রায় কয়েক হাজার বাসিন্দা। সেতু নির্মাণে প্রশাসনের হেলদোল নেই  বলে অভিযোগ। ইটাহারের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের মারনাই ও কাপাশিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে গিয়েছে সুই ও মহানন্দা নদী। মারনাই ঘাটে সুই নদীতে বর্ষায় জল বেড়ে গেলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিষ্টুপুর, বোচকাপাড়া, দাসপাড়া, কঁচুয়া, বীরনগর এবং কাপাশিয়া অঞ্চলের মানাইনগর, রাধানগর, জামালপুর সহ প্রায় ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। সুই নদীর এপারে রয়েছে মারনাই উচ্চ বিদ্যালয়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বাজার।  এক পড়ুয়া মাহবুর রহমান বলে, ভয়ে ভয়ে নৌকায় সাইকেল চাপিয়ে পার হয়ে স্কুলে যাই আমরা। নদীর এপার থেকে ওপারে বাঁধা দড়ি ধরে নৌকা নিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। 

    একবার নৌকা ওপারে গেলে, এপারের যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। মারনাইয়ের বাসিন্দা সুশীলা দাসের কথায়, এলাকার বাসিন্দারা বার বার সেতুর দাবি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেতু হলে শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং দীর্ঘদিনের দুর্দশা মিটবে।

    ইটাহার ব্লকের উপর দিয়ে মহানন্দা ও সুই নদী বয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি কংক্রিটের সেতুর প্রয়োজন। বিধায়কের উদ্যোগে কয়েকটি সেতু হয়েছে। আরও কয়েকটি নির্মাণের জন্য সেচ দপ্তরকে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বিধায়ক মোশারফ হুসেন। তাঁর মন্তব্য, কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার রাজ্য। তবে আর্থিক অবস্থা একটু ভালো হলে বাকি সেতুগুলি করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)