সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: কোচবিহারে রাজ আমলের দিঘিগুলির মধ্যে অন্যতম বাদুরবাগান লাগোয়া কাইয়া দিঘি। কিন্তু, সংস্কার তো দূরের কথা, কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে দিঘিটি। প্রশাসনকে উপেক্ষা করে সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী দিঘি এখন দৃশ্য দূষণের পর্যায় পৌঁছেছে। দিঘিকে কেন্দ্র করে এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যা নিয়ে শহরের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
বাসিন্দাদের দাবি, কয়েকবছর আগে কয়েক লক্ষাধিক টাকায় কাইয়া দিঘির চারপাশ সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। দিঘির পারে বসানো হয়েছিল পেভার ব্লক। কিন্তু তারপর থেকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এর জেরে দিঘির চারদিক আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। তাই শহরের মাঝে অবস্থিত দিঘিটির নতুন করে সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করা হোক।
শহরের বাসিন্দা তাপস সরকার, সুকান্ত দাস বলেন, সংস্কারের অভাবে রাজ আমলের দিঘিটির এই দশা। কচুরিপানায় দিঘি ভরে গিয়েছে। অনেকে আবর্জনাও ফেলছেন। একপাশ অবৈধভাবে দখল হওয়ায় দিঘির আয়তনও ছোট হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে দিঘিটি সংস্কার করা দরকার।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশপ্রেমী সুমন্ত সাহা বলেন, আগে কোচবিহার পুরাতন বাজার বা ভবানীগঞ্জ বাজারে আগুন লাগার পর এই দিঘির জল ব্যবহার করা হতো। এখন দিঘির যা অবস্থা, আগুন নেভাতে জল নেওয়া তো দূরে থাক, জলই দেখা যায় না। আবর্জনা জমে ঘাটগুলির অবস্থা বেহাল। কচুরিপানা জমে দিঘির বেহাল রূপ। রাজ আমলের হেরিটেজ দিঘিটির সংস্কার করা দরকার।
পুরচেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শহরের দিঘিগুলি সংস্কার শুরু হচ্ছে। শহরের পাঁচটি দিঘির সৌন্দর্যায়ন হবে। তাতে কাইয়া দিঘিও রয়েছে। শহরের আরও কিছু দিঘি সংস্কার করা হবে। সেই কাজের ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।