• মশার লার্ভা দমনে কিনছে প্রশাসন গাপ্পি চাষ করে আয়ের মুখ দেখছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: আয়ের নতুন দিশা দেখাচ্ছে গাপ্পি চাষ। দিনহাটা-২ ব্লকে চাষ হচ্ছে মশার লার্ভা খাদক এই মাছ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উৎপাদন করছেন গাপ্পির চারা। প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে মৎস্য দপ্তর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গাপ্পি চাষ করে আশার আলো পেয়েছেন অনেকেই। 

    দিনহাটা-২ ব্লকের বামনহাটে গাপ্পি মাছের চাষ শুরু হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে গাপ্পির চারাপোনা কিনছে প্রশাসন। মশার লার্ভা নিধনে ওই চারা বিলি করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয়ের পথ প্রশস্থ হচ্ছে এতে। সিদ্ধেশ্বরী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য পুতুল মোদক বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় গাপ্পি মাছের চাষ শুরু করেছি আমরা। এবছর ১ লক্ষ ৪৭ হাজার গাপ্পির চারা ব্লক প্রশাসনকে বিক্রি করেছি। গাপ্পি চাষ লাভজনক হওয়ায় আর্থিকভাবে আমরা মহিলারা লাভবান হচ্ছি। দিনহাটা-২ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারক রমজানুল হক বলেন, ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মাছ পালনে পরামর্শ দেওয়ায় উৎকৃষ্ট মানের মাছের চারা উৎপাদনে সফল হচ্ছেন মহিলারা। দিনহাটা-২ এর বিডিও নীতিস তামাং বলেন, আমাদের ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের গাপ্পি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই মাছের চারা কিনে মশার লার্ভা দমনে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে বিলি করা হচ্ছে। 

    মশার লার্ভা খেয়ে জীবন ধারণ করে গাপ্পি মাছ। মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে নালাগুলিতে এই মাছ ছাড়া হয়। এতদিন বাইরে থেকে মাছের চারা কিনে দিনহাটা-২ ব্লকে বিতরণ করা হতো। স্বাবলম্বী করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎসাহিত করে ব্লক প্রশাসন। মাছের খাবার ও ওষুধ সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছে জেলা মৎস্য দপ্তর। এতে গুণগত উৎকৃষ্টমানের চারা উৎপাদন হচ্ছে। এবছর এখনও প্রায় দু’লক্ষ গাপ্পি মাছের চারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে কিনেছে ব্লক প্রশাসন।  দিনহাটায় গাপ্পি চাষ। - নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)