• ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই বেহাল দশা শিশু উদ্যানের, নষ্ট হচ্ছে দোলনা
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল শিশু উদ্যান। হেলদোল নেই পুরসভারও। জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদীর পাড়ে আট নম্বর ওয়ার্ডে জেওয়াইএমএ ক্লাবের মাঠের পাশে শিশুউদ্যান গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল পুর কর্তৃপক্ষ। এজন্য তারা পরিকাঠামো তৈরি করে। কিন্তু, পার্ক চালু করতে পারেনি। শিশুদের বিনোদনের জন্য যেসব খেলনা, দোলনা বসানো হয়েছিল, সেগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। বহু জিনিস চুরি হয়ে গিয়েছে। পার্ক চত্বর জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। অভিযোগ,  পার্কে দিনের বেলায় মদের আসর বসে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় অসামাজিক কাজকর্ম। পার্কের বেহাল দশা দেখে ক্ষুব্ধ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।

    যদিও ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, পার্কটিতে কাফেটেরিয়া তৈরি হয়েছিল। কিছু খেলনা বসানো হয়। কিন্তু দেখভালের অভাবে পার্কটি বেহাল হয়ে পড়ে। পার্কটি শীঘ্রই চালুর চেষ্টা করা হবে।

    তবে ভাইস চেয়ারম্যান যাই বলুন না কেন, পার্কটি চালুর ব্যাপারে কোনও আশা দেখছেন না শহরের বাসিন্দারা। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, মোহন বসু জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন করলার পাড়ে বিনোদনের জন্য টয়ট্রেন চালানোর কথা বলেছিলেন। বলা হয়েছিল, রোপওয়ে বসবে। করলা নদীতে বোটিং হবে। কিন্তু এসব নিয়ে পরের বোর্ড কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর করলার পাড়ে সৌন্দর্যায়ন করলেও তা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ জলপাইগুড়ি পুরসভা। খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য একটি পার্ক গড়ার কথা থাকলেও পুরসভা তা করতে পারল না। শুধু করছি, করব করেই দায় এড়াচ্ছে পুরবোর্ড। আর সরকারি টাকা অপচয় হচ্ছে।

    বুধবার জেওয়াইএমএ ক্লাব সংলগ্ন ওই শিশু উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, স্লিপার বসানো আছে। রয়েছে দোলনাও। একটি জিরাফের মূর্তিও বসানো ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের অযত্নে সবই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চারদিকে ঝোঁপ-জঙ্গলের জন্য সেখানে পাড়ার শিশুরাও যেতে ভয় পায়। এই পরিবেশকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাচ্ছে মাদকাসক্তরা। দিনের বেলা পুলিসের উইনার্স টিম বার কয়েক টহল দেয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর সেখানে তাদের দেখা মেলে না। সেসময় করলার পাড়ে, পার্কের ভিতরে দিব্যি আসর বসায় মাদকাসক্তরা।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)