সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হল ময়নাগুড়ির বিগ বাজেটের দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ওয়েস্ট আনন্দনগর ইয়ুথ ক্লাবে। বুধবার ময়নাগুড়ির আনন্দনগরে ক্লাবের খেলার মাঠে খুঁটিপুজো করা হল।
১৯৬২ সালে স্থাপিত হয় এই ক্লাব। এবছর এদের পুজোর থিম ‘লৌকিকতা’। এবার দুর্গাপুজো ৬৩ বছরে পড়বে। ক্লাব সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের পুজো মণ্ডপ এবার সর্বকালের সেরা মণ্ডপ হতে যাচ্ছে। বালুরঘাটের ডেকরেটর মণ্ডপের দায়িত্ব পেয়েছে। মেদিনীপুরের ৭৫ জন শিল্পী মণ্ডপ বানানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন।
ইয়ুথ ক্লাবের দুর্গাপুজো ঘিরে সারাবছর ময়নাগুড়িবাসী অধীর অপেক্ষায় থাকেন। গত কয়েক বছর ধরে বিগ বাজেটের পুজোর আয়োজন করে আসছে এরা। এবছর থিমের মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরবে। ইমিটিশনের গয়না, প্লাই, কাঠ সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হবে মণ্ডপ। থাকবে এক হাজারের উপর মডেল। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। মালবাজারের শিল্পী আলোর কাজ করবেন। এছাড়াও মণ্ডপে আসার আগে মূল রাস্তা ও গলিতে থাকবে চন্দননগরের আলোর কারুকাজ। বিশাল মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যা তৈরি করছেন নবদ্বীপের শিল্পী।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিশু সেন, বাবুয়া ভট্টাচার্য বলেন, ২৮ জুলাই সামাজিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছি। বুধবার খুঁটি পুজো করা হল। আমাদের মণ্ডপের সামনে হরেকরকম খবারের স্টল থাকবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠান মঞ্চে পুজোর ক’দিন চলবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। একটি সেলফি জোন করা হবে। দর্শনার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা করে বিশ্রামকক্ষ আমরা বানাব।
ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক অমল সরকার ও রাজা সরকার বলেন, আমাদের পুজো অতীতে কয়েকবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেয়েছে। এবার বিগত বছরগুলি অপেক্ষা বাজেট অনেকটাই বেড়েছে।
ইয়ুথ ক্লাবের পুজোয় বিগত কয়েকবছর ধরেই নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। জলপাইগুড়ি জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখতে। প্রতিবছর চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। গতবছর এদের পুজোর থিম ছিল ‘শিল্পীর চোখে রাজপ্রাসাদ’। যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শনার্থীদের। এবছরও ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যরা তাঁদের পুজোকে সেরার সেরা করে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। নিজস্ব চিত্র।