• থানের ঘটনা থেকে শিক্ষা, ভাঙচুর হতে পারে স্টেশনগুলিতে, গোপন রিপোর্ট পেয়ে সতর্ক রেল
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের সঙ্গেই কি জুড়ে যেতে পারে বাংলার পরিস্থিতি? এমনই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, বদলাপুরের মতোই আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ড নিয়ে তুমুল জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে বাংলার রেলওয়ে স্টেশনগুলিতেও। সরকারি সূত্রের খবর, এমনই গোপন রিপোর্ট এসেছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) হাতে। আর তাই বাংলার সবক’টি রেলওয়ে জোনকেই এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়। রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে বৃদ্ধি করা হচ্ছে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থাও। একইসঙ্গে সর্বত্রই কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামগ্রিক বিষয়টিকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। 

    কলকাতার মতোই নাগরিক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্রের থানেতে। মঙ্গলবার সেখানে জনরোষ সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে পুলিস-প্রশাসন। বদলাপুর স্টেশন অবরোধ, ইঁট বৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো - সবমিলিয়ে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র হয়েছে ওই স্টেশন। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে কলকাতা তথা বাংলাতেও একইভাবে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এই পরিস্থিতিতেই আরপিএফের গোপন রিপোর্টকে রীতিমতো ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবাদ অবস্থানকে আরও জোরদার করতে রেল স্টেশনগুলিকে ‘হাতিয়ার’ করার চেষ্টা করতে পারে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। বদলাপুরের মতোই কার্যত একই কায়দায় ট্রেন অবরোধের মতো একাধিক ‘জঙ্গি’ পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে। 

    আর জি কর হাসপাতালের কাছাকাছির মধ্যেই রয়েছে কলকাতা স্টেশন। হাসপাতাল থেকে কমবেশি সাত কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশনও। আরপিএফ সূত্রের আশঙ্কা, লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই যেকোনও সময় আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরে যেতে পারে এইসব রেলওয়ে স্টেশনের দিকে। এর ফলে স্টেশনে স্টেশনে রেলের যাত্রী সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে শুধুমাত্রই কলকাতা এবং শহরতলির রেল স্টেশনগুলি নয়। এক্ষেত্রে তামাম বাংলার সবক’টি রেলওয়ে স্টেশনেই কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করতে চায় রেল। এ ব্যাপারে জিআরপির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলারই পক্ষপাতী রেল।
  • Link to this news (বর্তমান)