• ভারত বন্‌঩ধে উত্তপ্ত বিহার, অন্যত্র জনজীবন স্বাভাবিক
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণ সংক্রান্তে সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিলের দাবিতে বুধবার ভারত বন্‌঩ধের ডাক দিয়েছিল একাধিক সংগঠন। এই বন্‌঩ধে সারা দেশে মিশ্র সাড়া মিলেছে। তবে এদিন সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল বিহার। দ্বারভাঙা, বক্সার, বেগুসরাই, হাজিপুর ও পাটনায় রেল এবং সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ হটাতে পুলিসকে জল কামান এবং লাঠিচার্জ করতে হয়।

    পাটনার এসএসপি রাজীব মিশ্র বলেন, ‘ডাক বাংলো চকে পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে উত্তেজিত জনতা। তাদের সরাতে পুলিসকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। তবে কেউ জখম হয়নি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’ বিক্ষোভের জেরে রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রেল। পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক সরস্বতী চন্দ্র বলেন, ‘বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি জায়গায় অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’

    প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও বন্‌঩ধের অল্প প্রভাব পড়েছে। সরকারি বাস পরিষেবা এদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্কুল-কলেজও বন্ধ ছিল। বন্‌঩ধের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাঁর নির্ধারিত পালামৌ সফর বাতিল করেন। 

    অল্পবিস্তর বিক্ষোভ ছাড়া এদিন স্বাভাবিক ছিল উত্তরপ্রদেশ। ভারত বন্‌ধ঩কে সমর্থন করেছিলেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, বসপা সভানেত্রী মায়াবতীও। এদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মিছিল বের হয়। তবে দোকান, বাজার সব খোলা ছিল। লখনউ, আগ্রায় রাস্তা আটকে ধর্না দিতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিস। আগ্রার ডিসিপি সুরজ কুমার রাই বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন।’

    তবে বন্‌ধের কোনও প্রভাবই পড়ল না পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায়। ইতিউতি বিক্ষোভ মিছিল ছাড়া সবই ছিল স্বাভাবিক। রাজস্থানেও বন্‌঩ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল ভরতপুরে। 

    ওড়িশাতেও বন্‌঩ধের বিশেষ কোনও প্রভাব পড়েনি। পুলিস জানিয়েছে, সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। ছত্তিশগ঩ড়ে বস্তার, সুরগুজা এলাকা ছাড়া মোটের উপর স্বাভাবিক ছিল রাজ্য। আদিবাসী অধ্যুষিত বস্তারে এদিন দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। স্কুল, হাসপাতাল সহ জরুরি পরিষেবাকে বন্‌঩ধের আওতা থেকে বাইরে রাখা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)