• বারুইপুর ও কুলতলি হাসপাতালে নিরাপত্তায় খামতি, ওয়ার্ডের মধ্যে দাপাদাপি বহিরাগতদের
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বারুইপুর এবং কুলতলি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিস্তর অবহেলা। প্রচুর ফাঁকফোকর। এ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে রোগী মহলে। আর পাশাপাশি অন্য ছবি সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। যদিও, ‘এই পুলিসি আয়োজন সারা বছর থাকবে তো?’ প্রশ্ন তুলছেন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।

    বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাত্রিবেলা নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে রোগীদের সঙ্গে ঢুকে পড়ছেন বহু অপরিচিত ব্যক্তি। রোগী নামিয়ে অটো, টোটো যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে। সিভিক ভলান্টিয়ার ও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের কার্যত দেখাই যায় না। অভিযোগ, তাঁরা চোখের আড়ালে বসে থাকেন। হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা নির্দিষ্ট পোশাক বিধি মানেন না। পরিচয়পত্র নেই। কে হাসপাতালের কর্মী তা চিহ্নিত করা কঠিন।  মহকুমা হাসপাতালের পিছনে গাড়িচালক থেকে শুরু করে বহিরাগতরা বসে আড্ডা দেন। পুলিস ক্যাম্প আছে বটে তবে কোনও নজরদারি নেই। বড় গণ্ডগোল বাঁধলে তবেই পুলিসের দেখা মেলে। 

    একই চিত্র কুলতলি-জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালের। অভিযোগ, সেখানে মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষদের দাপাদাপি লেগেই থাকে। সেখানে সারাক্ষণ বসে আড্ডা দেন পুরুষরা। ওয়ার্ডে শুয়েও থাকেন। এই কার্যকলাপ আটকানোর জন্য কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। ফলে চূড়ান্ত নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা। হাসপাতালে ঢোকার মুখে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও তাঁদের সবসময় দেখা মেলে না। ফলে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত হাসপাতালের ভিতরে। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ 

    অন্যদিকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ইমারজেন্সি যেন দুর্গ। রাত পাহারায় ১০ জন পুলিসকর্মী। দিনের বেলাতেও মোতায়েন পুলিস। হাসপাতালের গেটের বাইরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের রাখা হয়েছে। তবে রোগীর আত্মীয় এবং সাধারণ মানুষ বলছেন, ‘আর জি কর কাণ্ডের পর প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে নড়েচড়ে বসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে, আবার যে কে সেই হয়ে যাবে না তো?’
  • Link to this news (বর্তমান)