সংবাদদাতা, বনগাঁ: খেলতে খেলতে মামাতো বোনের সঙ্গে ঝগড়া, মারামারি হয়। তখন বোনকে খামচে দিয়েছিল বছর পনেরোর নাবালক। শাস্তিস্বরূপ নাবালককে বেধড়ক মারধর করে তালাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল দূর সম্পর্কের মামা-মামির বিরুদ্ধে। ওই নাবালকের পিঠে মারের দগদগে দাগ। জমে আছে রক্ত। খবর পেয়ে পুলিস ওই নাবালককে উদ্ধার করে। পুলিস এই ঘটনায় অভিযুক্ত মামাকে গ্রেপ্তার করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মেদিয়াপাড়ায় দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে থাকত নাবালক। বাবা ও মায়ের মধ্যে অনেক আগেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। মা অন্যত্র ভাড়া বাড়িতে থাকেন, অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। মাঝে মাঝে দাদার বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখে যেতেন। তবে যাঁদের উপর ভরসা করে নিজের ছেলেকে রেখেছিলেন, সেই দাদা-বউদির হাতে ছেলেকে আক্রান্ত হতে হবে বলে ভাবেননি তিনি।
মঙ্গলবার মামার মেয়ের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। বোনকে খামচে দিয়েছিল ভাই। প্রতিশোধ নিতে মামা ও মামি বেধড়ক মারধর করে। তারপর তাকে তালা বন্ধ অবস্থায় ঘরে রেখে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত এগারোটা থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত তালাবন্ধ অবস্থাতে ছিল ওই নাবালক। পরবর্তীতে খবর দেওয়া হলে বনগাঁ থানার পুলিস এসে তাকে উদ্ধার করে । নাবালকের পিঠে, পায়ে একাধিক কাটা দাগ ছিল। নাবালকের দেহের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ের দাগও ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের।
আহত নাবালক জানিয়েছে, মামা এবং মামি মাঝেমধ্যেই তাকে মারধর করে। তাদের মনঃপুত কোন কাজ না করলেই তাকে মারধর করা হয়। একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত মামা ও মামির শাস্তির
দাবি তুলেছেন তাঁরা। এলাকার এক ব্যক্তি জানান, ওই দম্পতি মাঝেমধ্যেই ওই ছেলেটিকে মারধর করে। আপাতত নাবালককে হোমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।