এই সময়: কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অভিযোগ, ফেসবুকে সেলিমের ফোন নম্বর দিয়ে অসত্য পোস্ট করেছেন অরূপ। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে লেখা চিঠিতে বুধবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং দ্য ইনফরমেশন অ্যাক্ট মোতাবেক অরূপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় আর্জি জানিয়েছেন সেলিম।অরূপের কোন পোস্ট নিয়ে আপত্তি, তা-ও অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। এই পোস্টে তাঁর সম্মানহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন সেলিম। চিঠিতে সেলিম সিপির উদ্দেশে লিখেছেন, ‘এই মানহানিকর পোস্ট অবিলম্বে ডিলিট করার জন্য পদক্ষেপ করা হোক। এখানে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া আমার ছবি ও ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এফআইআর দায়ের করা হোক।’
সেলিমের এই অভিযোগ নিয়ে অরূপ বলেন, ‘সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন ফোন নম্বর দিয়ে মানুষকে সহায়তার কথা বলেছিল। তাই আমি মহম্মদ সেলিমের ফোন নম্বরও দিয়েছিলাম। উনি প্রাইভেসির কথা বলায় আমি এই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি। কারও প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা আমার উদ্দেশ্য নয়।’
লালবাজারে সেলিমের অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি চিঠি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বামপন্থী চিকিৎসক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’ (এএইচএসডি)। বাম জমানার শেষ-পর্বে সন্দীপ ঘোষের বদলি ঠেকানোর জন্য নাকি উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) লিখেছিল এই সংগঠন।
সেই চিঠি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই চিঠিকে ভুয়ো বলে দাবি করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০১০-এর ১৪ এপ্রিল লেখা সেই ভুয়ো চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, ন্যাশনাল মেডিক্যালের অর্থোপেডিক বিভাগের তৎকালীন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সন্দীপ ঘোষের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে বদলি ঠেকানোর জন্য এএইচএসডি-র তরফে চিঠি লেখা হয়েছে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
এএইচএসডি-র সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘প্রায় চার দশক ধরে সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করে চলেছে আমাদের সংগঠন। সেই সুনামে কালি ছেটাতে চাইছে কোনও কোনও গোষ্ঠী। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় লাগাতার প্রতিবাদ আন্দোলন করা হচ্ছে বলেই বদনাম করতে এই ভুয়ো চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এই বাম সংগঠনের বক্তব্য, ভুয়ো চিঠিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানস গুমটার নাম রয়েছে। যদিও ২০১০ সালে এই সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন সত্যজিৎ চক্রবর্তী।