• জাস্টিস ফর আর জি কর, জাস্টিস ফর গোকুলনগর, ধর্নায় তৃণমূল
    বর্তমান | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ‘জাস্টিস ফর আর জি কর, জাস্টিস ফর গোকুলনগর’। আর জি করের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় অপরাধীর শাস্তি চেয়ে ধর্নায় বসল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার নন্দীগ্রাম-১বিডিও অফিসের সামনে মঞ্চ বেঁধে সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সুহাষিনী কর, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ সামসুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির দাবিতে সরব হন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতারা। একইসঙ্গে তাঁরা গোকুলনগর গ্রামে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে ব্যাপক মারধরের পর বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। ওই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তাদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতারা।

    আর জি করের ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্য যখন তোলপাড়, সেই সময় নন্দীগ্রাম-১ব্লকে এক তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে নগ্ন করে প্যারেড করানোর ঘটনা ঘটে। ১৫ আগস্ট বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে চুলের মুঠি ধরে টানাহ্যাঁচড়া করে। ওই ঘটনায় তাপস দাস নামে এক বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার হয়। ১৭আগস্ট রাতে পরিকল্পনা করে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপির লোকজন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, সিসি ক্যামেরা অকেজো করে ব্যাপক মারধর করে। তারপর বাইরে বের করে বিবস্ত্র অবস্থায় ৩০০মিটার হাঁটানো হয়। এই মুহূর্তে ওই বধূ এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বাড়িতে পুলিস মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় বিজেপির বুথ সভাপতি শম্ভু দাস সহ ছ’জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। 

    আরজি কর এবং গোকুলনগর দু’টো ঘটনারই কঠোর শাস্তির দাবিতে নন্দীগ্রামে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। বিডিও অফিসের সামনে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে ওই মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়। বুধবার প্রথম দিন নন্দীগ্রাম-১ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। আজ, বৃহস্পতিবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে। আরজি কর ইস্যুতে বিজেপি ধারাবাহিক আন্দোলন করছে। এরমধ্যেই নন্দীগ্রামের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় নন্দীগ্রামের নির্যাতিতার স্বামীকে ম্যানেজের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় গেরুয়া পার্টি। 

    যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ম্যানেজ করার অভিযোগ মিথ্যা। গোকুলনগরে পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং দিয়ে আরজি করের ঘটনায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছে তৃণমূল। মানুষ সেটা বুঝতে পারছে।

    তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম-১ব্লক সভাপতি বলেন, গোকুলনগরে আমাদের পার্টির কর্মীর স্ত্রীকে বিজেপির লোকজন লাঞ্ছিত করেছে। নগ্ন করে ৩০০ মিটার রাস্তা হাঁটিয়েছে। তাঁর ১৩বছরের মেয়েও রেহাই পায়নি। এই অত্যাচারের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গত ১৬আগস্ট বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ে বসে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। এনিয়ে আমাদের কাছে অডিও রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সেটা আইসি-র কাছে তুলে দিয়েছি। ওই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আরজি কর এবং গোকুলনগরের ঘটনায় প্রত্যেককে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার আবেদন জানাই।
  • Link to this news (বর্তমান)