ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইন বলবৎ করার আর্জি অভিষেকের
এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশে। এর মধ্যেই ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করার ব্যাপারে কেন্দ্রকে চাপ দিতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ঘটনায় ৫০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেন তিনি।বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক লেখেন, ‘গত ১০ দিনে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যখন গোটা দেশ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সুবিচারের দাবি করছে, সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ৯০০ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ এত কিছু সত্ত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না কেন?’
অভিষেক জানান, প্রতিদিন দেশে গড়ে ৯০টি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ে। দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৪টি অর্থাৎ প্রতি ১৫ মিনিটে ১টি করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন শক্তিশালী আইন দরকার যা ৫০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করবে এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করবে। শুধুমাত্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না।’ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকের কাছে একটি নির্দিষ্ট আবেদন রাখেন তিনি। অভিষেক জানান, রাজ্য সরকারকে কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন বলবৎ করার ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশ জুড়ে। এর মাঝেই গত ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে অতর্কিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সেদিন রাতেই মুখ খুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘এই গুন্ডামি সহ্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের পাকড়াও করে তাদের আইনিভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’ আরজি কর হাসপাতালের হামলার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে আগেও সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করের ঘটনার পর অভিষেক জানিয়েছিলেন, যারা এই কাজ করে, তাদের এনকাউন্টার করা উচিত। সরকারি টাকায় লালন-পালন করার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি, আরজি কর কাণ্ডের পর নিরাপত্তার দাবিতে চিকিৎসকদের আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি।