জীর্ণ সুকান্ত সেতুর মেরামতি নিয়ে ফাঁপড়ে পূর্ত দপ্তর
এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় যাদবপুরের সুকান্ত সেতুর হাল খুব খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে এই সেতু মেরামত করতে চায় পূর্ত দপ্তর। এর জন্যে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। কিন্তু সেতু মেরামতের কাজে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন সেতুর নীচে থাকা হকাররা। সেতু মেরামত করতে হলে হকারদের অন্য জায়গায় সরাতে হবে।কিন্তু হকারদের দাবি, সুকান্ত সেতু তৈরি হওয়ার সময়ে পূর্ত দপ্তরই তাঁদের সেখানে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাঁদের সরানো যাবে না। এ নিয়ে মহাফাঁপরে পূর্ত-আধিকারিকরা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেললাইনের উপরে অবস্থিত এই সেতুতে দীর্ঘদিন কোনও মেরামত হয়নি। সেতুর পিলারের উপরে যে গার্ডার বসানো থাকে সেটা সরু হয়ে গিয়েছে।
সেতুর কম্পন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের গার্ডার ব্যবহার করা হয়। এগুলি ১৫-২০ মিলিমিটার পুরু হয়। এখন ৫ মিলিমিটারে এসে ঠেকেছে। ইঞ্জিনিয়ারদের আশঙ্কা, এই গার্ডার যদি পিলারের সঙ্গে মিশে যায় তা হলে পুরো ব্রিজটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে বিপদের আশঙ্কা। সে জন্যে নতুন গার্ডার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, জ্যাগ দিয়ে ব্রিজটিকে তুলে তার নীচে গার্ডার বসানো হবে। গড়ফার দিকে ১৮টি এবং সন্তোষপুরের দিকে ২২টি পায়া রয়েছে। প্রতিটিতেই গার্ডার বসাতে হবে। স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন ব্রিজটি তৈরি হয় তখন মামলা করেছিলেন স্থানীয় হকাররা। সেই মামলা তুলে নেওয়ার শর্ত হিসাবে পূর্ত দপ্তরের তরফে সুকান্ত সেতুর নীচে হকারদের স্টল বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। হকারদের কাছে তার কাগজপত্র রয়েছে। যদিও পূর্ত দপ্তর বলছে তাদের কাছে এ রকম কোনও কাগজ নেই। সে জন্যে আমরা বলেছি, দরকার হলে স্টলের ভিতর দিয়ে জ্যাগ বসিয়ে ব্রিজ মেরামত করা হোক।’
যদিও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, হকারদের রেখে সেতু মেরামত করতে গেলে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আপাতত ঠিক হয়েছে, ২৬ অগস্ট যৌথ ইনস্পেকশন হবে।