• EXCLUSIVE: তরুণী ডাক্তারকে গ্যাংরেপ করা হয়নি, একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেল CBI: সূত্র
    আজ তক | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী ডাক্তারকে নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট দিল সিবিআই। 'আজতক'-এর হাতে এসেছে সেই স্টেটাস রিপোর্টের একটি বড়সড় তথ্য।    এখনও পর্যন্ত তদন্তে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে একমাত্র ব্যক্তির জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বিশ্লেষণ করেছে সিবিআই

    ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখেছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় রায় ওই তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও পরে খুন করেছেন। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একজনের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং ডিএনএ টেস্টেও সঞ্জয় রায়ের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে স্টেটাস রিপোর্টে। সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজও দেখেছে, যা ইঙ্গিত করে, অপরাধটি সঞ্জয় রায় করেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বিশ্লেষণ করেছে সিবিআই।

    একজন ধর্ষণ ও খুন করে থাকতে পারে

    সিবিআই তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এটি গণধর্ষণ নয়। একজন ধর্ষণ ও খুন করে থাকতে পারে। যদিও এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। তাই গণধর্ষণের তত্ত্ব এখনই সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  সিবিআই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত নিতে ফরেন্সিক রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারে।

    সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করবে সিবিআই?

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের পক্ষ থেকে এই মামলায় কিছু করা ভুল হয়েছে বলে সিবিআই তদন্তে জানা গেছে। সিবিআই প্রমাণ পেয়েছে, অপরাধের ঘটনাস্থলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের সংবেদনশীলতার অভাব ছিল। তাই সন্দীপ ঘোষের মাথার উপর গ্রেফতারির খাঁড়া ঝুলছেই আপাতত। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই।

    সিবিআই-এর বিশ্বাস, এই ধরনের ঘটনার সব প্রোটোকল জানা সত্ত্বেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে সন্দীপ ঘোষ, ক্রাইম সিনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ খুনের খবর পেয়েও তৎপরতা দেখাননি। হাসপাতালের সংস্কারের কাজটিও সিবিআই তদন্তের আওতায় রয়েছে। তার ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এফআইআর নথিভুক্ত করতে বিলম্বের বিষয়টিও সিবিআই তদন্তের অধীনে রয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের দেওয়া সময়সীমা নিয়েও তদন্ত করছে সিবিআই।
  • Link to this news (আজ তক)