আখতার আলি দাবি করেছেন, আরজি করের ট্রেইনি ডাক্তারের ধর্ষণ-খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তা বলয়ের অংশ ছিল। সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তা ব্যবস্থার একজন ছিল। তাঁর অভিযোগ ও দাবি, সন্দীপ ঘোষের 'ঘনিষ্ঠ বৃত্তে' থাকার সুবাদে সেই 'ক্ষমতা'কে কাজে লাগিয়েই সম্ভবত আরজি করে অবাধ যাতায়াত ছিল ধৃত সঞ্জয়ের। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আখতার আলি দেহ পাচারের মতো বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন। আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত চেয়ে মামলাও করেছেন তিনি। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট মানে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, গ্লাভস, স্যালাইনের বোতল বাংলাদেশের নাগরিকের কাছে বিক্রির পাশাপাশি দেহ পাচারেও জড়িত সন্দীপ!
তাঁর দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তিনটি প্রধান দুর্নীতি ছিল- বায়ো মেডিক্যাল দুর্নীতি, ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়া এবং অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকার নয়ছয়। এই সমস্ত দুর্নীতি পরিচালিত হতো সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি অ্যান্টি কোরাপশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকি আরজি করে সন্দীপ ঘোষের 'নেতৃত্বে' চলা দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেও তিনি নালিশ জানান বলে জানিয়েছেন। এখন এই ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরই আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকেও নাগাড়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এই ঘৃণ্য অপরাধ ধৃত সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে সংঘটিত করা সম্ভব নয়, একার কুকর্ম নয় বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।