স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: নাবালিকাকে ধর্ষণে এক যুবককে ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রামের পকসো আদালত। যার এই সাজা হল, সেই যুবক এখন ধর্ষিতা নাবালিকার কন্যাসন্তানের বাবা। সাড়ে তিন বছরের কন্যাসন্তানের বাবা যখন জেল থেকে ছাড়া পাবে, তখন তার মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক।
বুধবার পকসো আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এই সাজা ঘোষণার পাশাপাশি, সাজাপ্রাপ্তকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত সাত মাস সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত রাজু ভূঁইয়ার বাড়ি লালগড় থানা এলাকায়। সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত রায় জানান, ওই নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ করে সে। নাবালিকা ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। রাজু ফেরার হয়ে যায়। ৩০ অক্টোবর রাজুকে লালগড়ের জঙ্গল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর ২৬ ডিসেম্বর আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। অবশ্য ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি রাজু জামিন পায়।
এরই মধ্যে ওই নাবালিকা কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। ডিএনএ টেস্টে জানা যায়, রাজুই ওই কন্যার জনক। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল মামলার চার্জগঠন হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষার তথ্য অতিরিক্ত চার্জশিটে জমা দেয় পুলিশ। গত বছর ৩ জানুয়ারি থেকে তদন্তকারী অফিসার সুব্রত সামন্ত-সহ ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। মঙ্গলবার বিচারক রাজুকে দোষী সাব্যস্ত করলে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। বুধবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।