আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে রাজ্য। ২০২৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও এতদিন বাদে কেন সিট গঠন করা হল? প্রশ্ন তোলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। হঠাৎ করেই আরজি করের ঘটনার পর কেন সিট গঠন করা হল? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির। এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। আগামীকাল, শুক্রবার এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা সিটের হাত থেকে ইডি ও সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে আবেদন করা হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধক্ষয়ের বিরুদ্ধে মর্গ থেকে দেহ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে দেহ লোপাটের ঘটনা সামনে আসে। এছাড়াও মেডিক্যাল ওয়েস্ট (জৈব বর্জ্য) নিয়েও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অ্যান্টি করাপশন ইউনিটেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল।
এদিন বিচারপতি জানান, বছর পার হয়ে যাওয়ার পর কেন সিট গঠন হল? সিটের মাথায় সব সিনিয়র অফিসারদের রাখা হয়েছে। তার মানে রাজ্যে এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাহলে ১৬ অগস্ট কেন সিট গঠন, কেন ২০২৩ সালের অভিযোগের পরে নয়? পাল্টা রাজ্য জানায়, এক বছর আগে অভিযোগ জানানোর পর কোনও কাজ না হলেও সেইদিন কেন মামলাকারী চুপ ছিল? আরজি করের ঘটনা ঘটার পর কেন তাঁদের ঘুম ভাঙল?
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তদন্তের দাবি করা হয়। পাশাপাশি, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যেই সিট গঠন করা হয়েছে বলে তাঁর তরফে দাবি করা হয়। এই তদন্ত ইডি-র হাতে দেওয়া হোক বলে আবেদন জানান হয়।