• আরজি করে গণধর্ষণ হয়নি, CBI রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    এই সময় | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে কি চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়েছে? প্রশ্নটি ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে ধর্ষণের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকলে কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না কেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে। চিকিৎসককে ‘গণধর্ষণ’ করা হয়নি, একজনই এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে এ বার দাবি করা হল সিবিআইয়ের রিপোর্টে।সিবিআইয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়নি। সঞ্জয় রায় নামে যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই একমাত্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ফরেন্সিক রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট এই ধর্ষণের ঘটনায় একজন যুক্ত বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় গত ১০ অগস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    আরজি করের ঘটনাটি সামনে আসার পরেই বিভিন্নমহল থেকে বলা হচ্ছিল, এই ঘটনায় একজন নয়, একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নিহত চিকিৎসকের শরীরে প্রায় ১৫০ গ্রাম সেমেন পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে অনেক চিকিৎসকরাও এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যোগের কথা তুলে ধরছিলেন। যদিও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ১৫০ গ্রাম সেমেন পাওয়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, চিকিৎসকের এন্ডোসার্ভাইকাল ক্যানেলে গাঢ় সাদা তরল পাওয়া গিয়েছে। নিহত চিকিৎসকের দেহে মোট ১৬টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায়, গালে, নাকে, ঠোঁটের ভিতরে, বাম কাঁধে ও হাতে, বাম হাঁটুতে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ফুসফুসে রক্ত জমাট বাধা অবস্থা ছিল।

    তবে, সিবিআইয়ের এই রিপোর্টকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে না। সিবিআই এই ফরেন্সিক রিপোর্ট একাধিক এক্সপার্টদের দিয়ে যাচাই করবে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৩ অগস্ট এই মামলার তদন্ত ভার পায় সিবিআই। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যদিও, আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে নির্যাতিতার মা-বাবা বারবার এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে এসেছেন।

    সিসিটিভি ফুটেজ এবং আরও বেশ কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার দিন সঞ্জয়কে একাধিকবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে ও বের হতে দেখা গিয়েছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর সময় সঞ্জয় হাসপাতালের ভেতর ছিল বলেও সিসিটিভি ফুটেজে প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জেরায় সঞ্জয় নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে।
  • Link to this news (এই সময়)