• বিভূতিভূষণের স্কুলে পড়তেন সন্দীপ, কৃতীতালিকা থেকে নাম সরানোর দাবি প্রাক্তনীদের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। এমনকী মৃতদেহ পাচারের মতো নিকৃষ্ট অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের কৃতিদের তালিকা থেকে সন্দীপ ঘোষের নাম মুছে ফেলার দাবি তুললেন তাঁর স্কুলের প্রাক্তনীরা। বুধবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়ে স্মাপকলিপি দেন বনগাঁ হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের কয়েকজন সদস্য। ওই স্কুল থেকেই ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুণাল দে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলে দ্বিতীয় হয়েছিলেন সন্দীপবাবু। স্কুলে কৃতীদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। সন্দীপবাবুর এক সহপাঠী জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গে পড়ত সন্দীপ। মাঝে কয়েক বছরের জন্য রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছিল। আবার বনগাঁ হাই স্কুলে ফেরত আসে। ওর বাড়ি বনগাঁ শহরের পশ্চিমপাড়ায়। আমাদের সঙ্গে ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ও। আমাদের ব্যাচে ৬ জন মেডিক্যালে চান্স পেয়েছিল। তাদের মধ্যে ও একজন।’

    সন্দীপবাবুর নাম স্কুলের কৃতীদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি নিয়ে বুধবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তনীরা। প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

    এক প্রাক্তনী বলেন, ‘এটা বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল। সন্দীপ ঘোষের নামে স্কুলকে মানুষ চিনুক এটা আমরা চাই না। তাই ওর নাম কৃতীদের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে বলেছি।’

    প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ‘সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)