• ১-২ নয়, RG কর মামলায় ২১ দুঁদে আইনজীবীর ‘ফৌজ’ মমতার, ‘কী লোকাচ্ছেন?’ প্রশ্ন BJP-র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • কী লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে একাধিক আইনজীবী দাঁড়ানোয় এমনই প্রশ্ন তুলল বিজেপি। পদ্মশিবিরের দাবি, একদিকে আছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ও তাঁর হতভাগ্য বাবা-মা, অপরদিকে আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 'অসম' হলেও সেই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ জয়ী হবেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    সুপ্রিম কোর্টে যে মামলার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি, তা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনছে শীর্ষ আদালত। ফলে সেই মামলায় কোনও বাদীপক্ষ বা বিবাদীপক্ষ নেই। বিভিন্ন মহলের আইনজীবীরা আছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একইসুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘আজ কপিল সিব্বলের নেতৃত্বে এই আইনজীবীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে আছেন। যাঁরা ভারতের অন্যতম বড় আইনজীবীদের তালিকায় আছেন। তাঁরা বেটির পক্ষে নেই। তাঁরা আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের পক্ষে নেই। তাঁরা সন্দীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকদের দিকে আছেন। তাঁরা বেটির অভিভাবকদের পক্ষে নেই। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের পক্ষে আছেন। ন্যায়বিচার এবং ন্যায়ের পক্ষে নেই তাঁরা।’

    শেহজাদের সেই মন্তব্যের রেশ ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে লড়াই করার জন্য কপিল সিবলকে আক্রমণ শানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি বলেন, ‘আইনজীবীরা যে কারও হয়ে মামলা লড়তে পারেন। কিন্তু এমন একজন আছেন, যিনি সবসময় মাওবাদী, জঙ্গি, অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, দেশবিরোধীর মতো লোকেদের হয়ে দাঁড়ান। মানুষ স্পষ্টতই সেটা দেখতে পাচ্ছে না। হয়ত টাকা এবং মানসিকতাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’

    অন্যদিকে, বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলের নেতৃত্বে ২১ জন আইনজীবী। যে সরকার ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।’

    তিনি আরও বলেন, 'একবার শুধু ভাবুন। একদিকে আছে কলকাতা শহরতলিতে বসবাসকারী সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার। যে পরিবারের মেয়ে চিকিৎসক হওয়ার এবং মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখেছিল। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ এবং ক্ষমতাশালী লোকেদের জোট আছে। এটা অসম লড়াই। কিন্তু যাই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা জিতবেন।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)