• ‘‌তাকে কি বসিয়ে স্যালারি দেবে সরকার?’‌ সন্দীপকে সামনে রেখে সরকারপক্ষে দেবাংশু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সুতরাং বাংলার সরকার বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কৃতিত্ব বলতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করার ঘটনা। এই আবহে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি নেটপাড়ার সদস্যরা। বরং একাধিক খোঁচায় বিদ্ধ করেছেন তাঁকে।

    আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে যখন চর্চা তঙ্গে উঠেছে তখন সিবিআইয়ের দুয়ারে বারবার হাজির হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‌আবার একদল বলতে শুরু করেছে সন্দীপ ঘোষকে আবার একটা পদে দিল সরকার।’‌ আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরিয়ে তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও সবাই রে রে করে ওঠায় ওখান থেকে এবার স্বাস্থ্য ভবনে ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ পদ দিয়ে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষকে। তাঁকে বসিয়ে বেতন দেবে নাকি সরকার?‌ এমন প্রশ্ন তোলেন দেবাংশু।

    তবে দেবাংশুর এই প্রশ্নেই আগুনে যে ঘৃতাহুতি পড়ল। নেটপাড়ার সদস্যরা পাল্টা পোস্ট করতে থাকেন কমেন্ট বক্সে। সন্দীপ ঘোষকে কেন কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল না?‌ প্রশ্ন তোলেন নেটপাড়ার সদস্যরা। আজ, বৃহস্পতিবার দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুকে লেখেন, ‘‌আরে ভাই শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ওকে কোন ইনস্টিটিউটের মাথায় বসানো যাবে না। তাই ওকে স্বাস্থ্য ভবনে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। সে একজন সরকারি কর্মচারী। কোথাও না কোথাও তো তাকে পোস্টিং দিতেই হবে! তাকে কি বসিয়ে স্যালারি দেবে সরকার?’‌

    কিন্তু এই কথার সঙ্গে কেউ সহমত পোষণ করেননি। বরং এটাই তো তৃণমূল কংগ্রেসের চরিত্র বলে আক্রমণ করা হয় ফেসবুকে। অনেকে লেখেন, কম্পালসারি ওয়টিংয়ে পাঠালে কোন ক্ষতি হতো। কেউ লিখেছেন, সন্দীপ ঘোষকে গারদে পোরা উচিত ছিল। বরখাস্ত করা উচিত ছিল। সেখানে দেবাংশু লিখেছেন, ‘‌আর বরখাস্ত কেউ তখনই হয় যখন কারও দোষ আদালতে প্রমাণিত হয়। ততদিন পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে জামাই আদর করে পয়সা দেবে সরকার? তাকে দিয়ে কাজ করাবে না?’‌ বিতর্ক তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)