• আনন্দপুরে মহিলার খুনের পর বামনঘাটায় মিলল ৫ বছরের নাতির দেহ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ আগস্ট ২০২৪
  • কলকাতার আনন্দপুরে সদ্য সাত সকালে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার মৃত দেহ। বুধবার সেই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শহরে ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডের জেরে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আনন্দপুরে উদ্ধার হয় নারকেলডাঙা এলাকার এক বাসিন্দার মৃতদেহ। এই মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা যায়। জানা যায়, মৃতার নাম রেহানা বেগম ওরফে বেবি। তাঁর বয়স ৫৫ বছর। তবে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হলেও, তাঁর সঙ্গে থাকা তাঁর নাতি নিখোঁজ বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ৫ বছর বয়সী ওই নাতি কোথায়? উঠেছে প্রশ্ন। তল্লাশিকে নেমে পুলিশ উদ্ধার করে ৫ বছর বয়সী নাতির দেহ 

    আনন্দপুর থানা এলাকার পথের ধারের ঝোপ থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। মৃতেরা প্রতিবেশি পরিজনরা থানা ঘেরাও করেন। মঙ্গলবার রাতে মৃতা রেহানার খোঁজ না মেলায়, তাঁরা গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। তবে, তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ সেই অভিযোগে গুরুত্ব দেয়নি। এদিকে, পুলিশ সূত্রের খবর, নোনাডাঙার সবুজপল্লিতে রাস্তার পাশে এক জায়গায় মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও, পরে তা জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান ছিল যে মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় ভিকি সাউ নামে এক গাড়িচালককে গ্রেফতার করা হয়। মোট ২ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতার দেহে ছিল সাদা চুড়িদার, মুখ ও মাথার পিছনে বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও খবর। নারকেলডাঙা এলাকায় দুই নাতি ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রেহানা। কয়েক মাস আগে ভিকি তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। মঙ্গলবার ভিকির গাড়িতেই আনন্দপুর যাওয়ার জন্য রওনা হন রেহানা। মহিলার একটি আবাসন রয়েছে তিলজলায়। সেখানে রেহানার বহু ভাড়াটে থাকেন। সেই ভাড়াটেদের থেকে ভাড়ার টাকা নিতে যান রেহানা। এদিকে,  তিনি ফিরে না আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। পরিবারের এক সদস্য জানান, শেষবার তিনি যখন ফোন ধরেন, তখন জানান তিনি গাড়িতে ফিরছেন। পরে যদিও তিনি ফেরেননি। পরে ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

    এদিকে, এদিকে রেহানার নাতির খোঁজে পুলিশ নামে তদন্তে। অন্যদিকে, ধৃতকে জেরা করে বামনঘাটা খালে বোট নামিয়ে শুরু হয় কলকাতা পুলিশের তল্লাশি। অবশেষে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ছোট্ট শিশুর মৃতদেহ। এদিকে, রেহানার পরিজনদের দাবি ছিল, শিশুর খোঁজ যতক্ষণ না মিলছে, ততক্ষণ রেহানার দেহ তাঁরা নেবেন না। রেহানার মেয়ে আরশি বেগমের দাবি, মা তো তলে গিয়েছেন, এবার অন্তত শিশুটিতে দিন। এরপর উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)