• নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • ৮ আগস্টের শোকার্ত সকাল। পাম অ্যাভিনিউয়ের দু’কামরার ফ্ল্যাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন। এদিন সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সেই স্মরণ সভা। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম-এর পলিট ব্যুরোর সদস্য বিমান বসু। উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, তন্ময় ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিরাও। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয় নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই। দুটো পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ।

    অনুষ্ঠানে শুরুতেই মঞ্চের পাশে অবস্থিত বুদ্ধবাবুর ফটোতে নিজেদের শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিমান বসুসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বুদ্ধ জায়া মীরা ভট্টাচার্যও। তারপরে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে নীরবতা পালন। শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অন্যদিকে তখন সমগ্র স্টেডিয়াম জুড়ে উষ্ণ লাল অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন অগণিত মানুষ। ‘কমরেড লাল সেলাম’ স্লোগানের গর্জনে ফেটে পড়ছে স্টেডিয়াম। অগণিত সাদা মাথার মাঝে প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করছেন তরুণরাও।

    তারপরে মঞ্চে আসীন হলেন সকলেই। তবে মঞ্চে দেখা মেলেনি বুদ্ধ জায়ার। বরং তাঁকে দেখা গেল দর্শকাশনে। প্রথমেই বক্তব্য রাখেন, সিপিআইএম-এর বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু। প্রথমেই তিনি সমবেদনা জানান, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্যকে। তাঁর কথায়, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ৬০-এর দশকের আন্দোলনের এক তরুণ মুখ বলা যেতে পারে। তৎকালীন সময়ে সমাজের যুব সংগঠনকে গড়ে তোলার কাজে যাঁরা সবথেকে বেশি খেটেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।” একই সঙ্গে বুদ্ধবাবুর সাংস্কৃতিক মনস্কতারও কথা বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিমানবাবু।

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)