অনুষ্ঠানে শুরুতেই মঞ্চের পাশে অবস্থিত বুদ্ধবাবুর ফটোতে নিজেদের শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিমান বসুসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান বুদ্ধ জায়া মীরা ভট্টাচার্যও। তারপরে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে নীরবতা পালন। শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অন্যদিকে তখন সমগ্র স্টেডিয়াম জুড়ে উষ্ণ লাল অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন অগণিত মানুষ। ‘কমরেড লাল সেলাম’ স্লোগানের গর্জনে ফেটে পড়ছে স্টেডিয়াম। অগণিত সাদা মাথার মাঝে প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করছেন তরুণরাও।
তারপরে মঞ্চে আসীন হলেন সকলেই। তবে মঞ্চে দেখা মেলেনি বুদ্ধ জায়ার। বরং তাঁকে দেখা গেল দর্শকাশনে। প্রথমেই বক্তব্য রাখেন, সিপিআইএম-এর বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু। প্রথমেই তিনি সমবেদনা জানান, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্যকে। তাঁর কথায়, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ৬০-এর দশকের আন্দোলনের এক তরুণ মুখ বলা যেতে পারে। তৎকালীন সময়ে সমাজের যুব সংগঠনকে গড়ে তোলার কাজে যাঁরা সবথেকে বেশি খেটেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।” একই সঙ্গে বুদ্ধবাবুর সাংস্কৃতিক মনস্কতারও কথা বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিমানবাবু।