প্রসঙ্গত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে মৃতদেহ লোপাট করার মতো অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশের সিট সেই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর যখন সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তখন সিট তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেছেন আখতার আলি। এদিন ছিল, সেই মামলার শুনানি। সিঙ্গেল বেঞ্চ জানায়, ‘সিটের মাথায় সব সিনিয়র অফিসারদের রাখা হয়েছে। তার মানে রাজ্য এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।’
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘১৬ অগস্ট কেন সিট গঠন, কেন ২০২৩ সালের অভিযোগের পরে হল না? ‘ রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্য স্বীকার করছে, এটা সিরিয়াস অভিযোগ। তাই সিট গঠন করা হয়েছে।’ আখতার আলির তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি বলেন,’মর্গ থেকে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি দেহ লোপাটের ঘটনা সামনে আসে। মেডিক্যাল ওয়েস্ট নিয়েও দুর্নীতি হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করা হয়। তাঁরা কোনও তদন্ত না করে রাজ্যের এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়ে দেয়।’ রাজ্যের তরফে পাল্টা প্রশ্ন, ‘এক বছর আগে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও কেন মামলাকারী চুপ ছিল? আরজি করের ঘটনা ঘটার পর কেন তাদের ঘুম ভাঙল?’ আগামীকাল শুক্রবার, দুপুর ১২টায় ফের এই মামলার শুনানি।