হোটেলকর্মীর রহস্যমৃত্যু, সংসার চলবে কীভাবে? শোকের মাঝে চিন্তা স্ত্রীর
প্রতিদিন | ২৩ আগস্ট ২০২৪
সৈতক মাইতি, তমলুক: তমলুকের হোটেলে এক কর্মীর রহস্যমৃত্যু! বৃহস্পতিবার সকালে হোটেলের ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে অন্যকর্মীরা। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম বিকাশ আদক (৪৮)। তিনি তমলুক থানার শ্রীরামপুর দোবাদী এলাকার বাসিন্দা। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে। লকডাউনের সময় থেকেই বিকাশবাবু তমলুকের পুরাতন ডিএম অফিসের ঠিক উলটোদিকের একটি হোটেলের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। চার বছর ধরে সেখানেই করছিলেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারেও রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমোতে চলে যান সকলেই। এর পর সকালে হোটেলের ঘর থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে স্বামীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী পুষ্পদেবী। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। অভাবের সংসারে বিকাশবাবুর আয়ে কোনও রকমে সংসার চলত। শোকের মাঝেও সংসারের চিন্তা ভাবাচ্ছে তাঁকে। মৃতের জামাই সঞ্জু সামন্ত বলেন, “বাবা মোটের উপর স্বাভাবিক অবস্থাতেই ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই কিভাবে, ঠিক কি কারনে মৃত্যু হল তা আমরা বুঝতে পারছি না।”
যদিও ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু। হোটেলের মালিক অশোক রায় বলেন, “বিকাশ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আমরা ওনার চিকিৎসাও করেছিলাম। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা ওই কর্মী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।” তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, ‘হোটেল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’