• সুহৃতা পাল বারাসত মেডিক্যাল কলেজে যোগ দিলেন না, মালদায় নতুন অধ্যক্ষে ‘‌না’‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সুতরাং প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আগেই আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরে যেতে হয়েছে। তারপর নানা টালবাহানার পর আরজি কর হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ করা হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সন্দীপ ঘোষের উত্তরসূরি সুহৃতা পালকে আরজি কর হাসপাতাল থেকে সরিয়ে বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসীন করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি ওখানে কাজে যোগ দেননি বলেই খবর।

    আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে যখন চর্চা তঙ্গে উঠেছে তখন সিবিআইয়ের দুয়ারে বারবার হাজির হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই আবহে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক পড়ুয়াকেও শিয়ালদা আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। তাঁদেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত সেটারও অনুমতি দিয়েছে। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে বদলি করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। আজ বৃহস্পতিবার নতুন কাজে তিনি যোগ দেননি। আর মালদা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ জানিয়ে দেন, আরজি কর হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে আসা ওই অধ্যাপককে কলেজে ঢুকতে দেবেন না।

    তবে আজকে নিয়ে টানা সপ্তম দিন সন্দীপ ঘোষ হাজিরা দিলেন সিবিআই দফতরে। এখন সন্দীপ ঘোষ স্বাস্থ্য ভবনের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে রয়েছেন। সুহৃতা বৃহস্পতিবার কাজে যোগ না দেওয়ায় অনেকের প্রশ্ন, নতুন অধ্যক্ষ কাজে যোগ দেবেন তো? এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সুপার অভিজিৎ সাহার কাছে। তিনিই আপাতত কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘যাঁর আসার কথা তিনিই নিশ্চয়ই এসে যোগ দেবেন। আপাতত সুপার হিসাবে আমিই দায়িত্ব পালন করছি।’‌

    ইতিমধ্যেই সিবিআই সন্দীপ ঘোষ এবং চার জুনিয়র ডাক্তারদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা নিয়ে আবেদন জানায় সিবিআই। যা মঞ্জুর করেছে শিয়ালদা আদালত। আর মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বিভাগীয় ওয়েবসাইটে রয়েছে। বদলির অর্ডার কপি বেরিয়েছে। আমরা সেখান থেকেই ডাউনলোড করে থাকি। অর্ডার বেরিয়েছে যখন, তখন অপেক্ষা করে দেখা যাক।’‌ আর মালদা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের কথায়, ‘‌মালদা মেডিক্যাল কলেজ ডাস্টবিন নয়। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আরজি কর হাসপাতালে তিনি এসে এখানকার পরিবেশ নষ্ট করুন সেটা আমরা চাই না। এখানে ওঁকে ঢুকতে দেব না। তালা লাগিয়ে দেব গেটে। যদি উনি নির্দোষ হন, তাহলে ওঁকে বদলি কেন করা হল?’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)