• মশার মারতে প্রমীলা বাহিনী নামাল কলকাতা পুরসভা, কেমন ফল মিলল পুরকর্তাদের হাতে?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • মশাবাহিত রোগ কি বাড়ছে বঙ্গে?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে কলকাতা শহরে। কারণ ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া, কোথাও ডেঙ্গি অথবা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই আবহে এবার মশা নিধনে প্রমীলা বাহিনী নামিয়েছে কলকাতা পুরসভা। যাঁরা তল্লাশি চালাচ্ছেন কলকাতার নানা আবাসনে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের এই প্রমীলা বাহিনী ইতিমধ্যেই শহরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার আবাসনে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার সন্ধানে তল্লাশি করেছে। তবে আবাসনে মশার লার্ভার উৎস সন্ধানে প্রমীলা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে প্রথমবার হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

    কলকাতা পুরসভার পরিসংখ্যান বলছে, এবার ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার দাপট এখনও পর্যন্ত শহরে অনেক কম। তবে সেটা বাড়ে কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বর্ষার মরশুম থাকায় এই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই প্রমীলা বাহিনীর কড়া নজরদারির জেরে আবাসনগুলিতে মশার বংশবৃদ্ধি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। কলকাতা পুরসভার মশা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরীতে ২০২৩ সালের অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭২ জন। ২০২৪ সালে এই একই সময়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫৫ জন। সুতরাং গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে শহরে এখনও পর্যন্ত ৬২ শতাংশ ডেঙ্গি কম আছে।

    ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতায় ২৮৮৮ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। চলতি বছরের অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫৮ জন। সুতরাং ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের ম্যালেরিয়ার হারও ৬২ শতাংশ কম। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘রোজ আমাদের মহিলা কর্মীরা শহরের নানা আবাসনে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। কোথাও মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে কিনা তা দেখছেন। মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গি ঠেকাতে আবাসিকদের কী করতে হবে সেটা নিয়ে। তারই ফল মিলেছে।’

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রমীলা বাহিনীর কাজের গতিতে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। এই নতুন প্রমীলা বাহিনী আবাসনগুলিতে গিয়ে মাইকে প্রচার করে বলছে, ডেঙ্গি–ম্যালেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতে কোনও ছোট–বড় পাত্রে জল জমিয়ে রাখা যাবে না। ফুলের টব, ফ্রিজ, এসি মেশিনের জল সাতদিন অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এমনকী আবাসিক কমিটির হাতে তা নিয়ে লিখিত হ্যান্ডবিল তুলে দিয়ে আসছেন প্রমীলা বাহিনীর সদস্যরা। নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হানা দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন,‘আবাসনের এই অভিযানে আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)