• স্কুল চত্বর থেকে পাড়ার অলিগলিতে পুলিসের উইনার্স টিমের টহলদারি, মহিলাদের সঙ্গে কথা
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জেলার বিভিন্ন স্কুল চত্বর, অলিগলিতে গিয়ে ছাত্রী, পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিসের উইনার্স বাহিনী। কালো পোশাক পরে বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিসকর্মীরা টহল দিচ্ছেন। কোনও ঘটনা মেয়েদের দৃষ্টিকটু লাগছে কিনা, কিংবা কোন জায়গায় আতঙ্ক কাজ করছে, তা নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন করছেন। আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার পর পুলিসের এই বাহিনী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাস্তাঘাটে ইভটিজিং বন্ধ করতে আরও কড়া হচ্ছে জেলা উইনার্স টিম। 

    জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর থেকেই পুলিসের মহিলাকর্মীদের নিয়ে এই বাহিনী তৈরি করা হয়। মূলত, কালো পোশাক পরে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি চালান। এমনকী রাতেও বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান। আর জি কর কাণ্ডের পর মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ। বীরভূমেও দিকে দিকে প্রতিবাদ চলছে। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মিছিল, জমায়েত করে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন মহিলারা। সে ক্ষেত্রে পুলিসের দায়িত্ব আরও বাড়ছে। আর এর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকাতেই উইনার্স বাহিনী টহল দেওয়া শুরু করেছে। মূলত, মহিলাদের সংখ্যা বেশি এইসব এলাকায় বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে এই বাহিনী বিভিন্ন স্কুল চত্বরে যায়। স্থানীয় থানার অফিসারদের নিয়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘোরে। কিছু মানুষের সঙ্গে পুলিসকর্মীরা কথা বলেন। স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রতিদিনই উইনার্স বাহিনী এই ভাবে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার (হেড কোয়ার্টার) পরাগ ঘোষ বলেন, উইনার্স বাহিনী সব জায়গাতেই ঘুরছে। মূলত ৩টি জায়গায় আলাদা পয়েন্ট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার অফিসাররাও সঙ্গে থাকছেন। আমাদের হেড কোয়ার্টারেও তা রিপোর্ট হচ্ছে। কোথাও কোনও অভিযোগ উঠছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ ইভটিজিং করলে এই বাহিনী কড়া হাতে বিষয়টি দেখে। সিউড়ি শহরের এক মাঝবয়সি মহিলা রত্না দে বলেন, দেখলাম ওঁরা বাইক নিয়ে ঘুরছেন। এটা যদি রাতেও করা হয় তো খুবই ভালো হয়। পুলিস রাস্তায় থাকলে অন্তত নেশাগ্রস্তরা ভয়ে থাকে। না হলে তারা নানা কটূক্তি করে। রাস্তায় বিভিন্ন ঠেকে ঠেকে গালিগালাজ শুনতে পাওয়া যায়। এই আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদের আন্দোলন শহর ও গ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তপোক্ত করার পথকে প্রশস্ত করবে বলেই আশা রাখি। তবে অন্যদিকে, পুলিসের নজরদারির বেশ কিছু দিক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে রাতে শহরগুলিতে নেশাগ্রস্তদের বাইক নিয়ে দাপাদাপি বন্ধ হয়নি। মহিলাদের রাতে কারও সঙ্গে যেতে দেখলেই অনেকেই কটূক্তি করেন। সেক্ষেত্রে উইনার্স বাহিনী যদি সাধারণ মহিলাদের সঙ্গে গোপনে কথা বলে, তাহলে অনেক নেশার ঠেকের সন্ধান পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। -( হাসপাতালে পুলিসের উইনার্স টিম। নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)