• কুয়ে নদী থেকে বালি, মাটি নির্বিচারে তুলে চড়া দরে বিক্রি করছে মাফিয়ারা
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: বর্ষা নেমে যাওয়ায় সরকারিভাবে সমস্ত নদীঘাট বন্ধ করা হয়েছে। ফলে নদী থেকে কার্যত বালি ও মাটি পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে মাটি ও বালি মাফিয়ারা। দিনের আলোতেই প্রশাসনের নাকের ডগায় কুয়ে নদী থেকে বালি ও মাটি উঠিয়ে চড়া দরে পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। শনিবারের এই ঘটনা ভরতপুর থানার আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের ধোপঘাট এলাকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

    এদিন সাত সকালে সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কুয়ে নদীর ওই জায়গায় নদীবাঁধ থেকে প্রায় ৮০ ফুট দূরে একটি জেসিবিতে মাটি কেটে ট্রাক্টরে লোড করা হচ্ছে। প্রায় ১৫টি ট্রাক্টরে সেই মাটি বাঁধের উপর দিয়ে পাচার করা হচ্ছে।

    বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত অবাধে নদীর বালি ও মাটি পাচার হয়েছে। যে এলাকায় এই কাজ চলছে, সেখান থেকে ১০ মিনিটে ভরতপুর থানায় পৌঁছনো যায়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। আলুগ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, মাঝে মধ্যেই এভাবে নদীর মাটি ও বালি কেটে পাচার করছে দুষ্কৃতীরা। এখন নদী থেকে বালি মাটি তোলা নিষেধ বলে পাচারকারীরা তা চড়া দরে বিক্রি করছে। প্রতি ট্রাক্টরে প্রায় ৫০০ টাকা করে দর বেশি নিচ্ছে ওরা। তবে প্রতিবাদ করার সাহস কারও নেই।

    অপর এক বাসিন্দা বলেন, যে জায়গায় মাটি কাটা হচ্ছে, তার ধারে কাছেও যাওয়ার উপায় নেই। কারণ ওদের লোকজন চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। ঝামেলা করলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। স্থানীয় আলুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জাহিরুল শেখ বলেন, এদিনের ঘটনা কেউ আমাকে জানাননি। তবে মাঝে মধ্যেই এমন কাজ হয়ে থাকে। আমরা প্রশাসনকেও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এতে আমার এলাকার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সাথে সামাজিক অবনতিও হচ্ছে।

    এবিষয়ে ভরতপুর ১ বিএলআরও আনন্দমোহন মাইতিকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে কয়েকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)