• তরুণীর চিৎকার আটকাতে মুখে গোঁজা কাপড়টি খুঁজছে সিবিআই
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দিন হাসপাতালের শীর্ষকর্তা সহ অন্য চিকিৎসকরা এসেছিলেন কি না, জানতে তাঁদের চালকদের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। গাড়ির লগবুক ঘেঁটে তার নথি জোগাড়ের কাজ চলছে। একইসঙ্গে তরুণী যেখানে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন, সেখানে একটি কাপড় ছিল, যেটা তাঁর মুখে গোঁজা হয়েছিল। কিন্তু সেটি কোথায় গেল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

    সিবিআই তদন্তে নেমে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কলকাতা পুলিসের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে কোনও জালিয়াতি করা হয়েছে কি না, তা  ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই জানা সম্ভব। এজেন্সি জেনেছে, সেমিনার হলে ক্যামেরা বসানোর কথা ছিল। কিন্তু কেন তা বসানো গেল না, তার খোঁজ করছেন তাঁরা। এই ক্যামেরা থাকলে অনায়াসেই জানা যেত, মেয়েটির দেহ যেখানে পড়েছিল, সেখান থেকে কী কী তথ্যপ্রমাণ উধাও হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, যে ঘরে তরুণীর দেহ পড়েছিল, সেখানে একটি কাপড় ছিল। সেটি তরুণীর মুখে গোঁজা হয়, যাতে তিনি চিৎকার করতে না পারেন। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে ওই কাপড়ের খোঁজ পাননি সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কোনও গাড়ি থেকে এই কাপড় আনা হয়েছিল। কিন্তু কার গাড়ি এবং কে তা নিয়ে এল, সেটা স্পষ্ট নয়।  তাঁদের প্রশ্ন, এই কাপড়টি কোথায় গেল? এজেন্সির দাবি, তারা জেনেছে ওই তরুণী যখন পড়েছিলেন, তখন হাসপাতালের প্রচুর লোক এসে তাঁর পরনের পোশাক সহ দেহে হাত দিয়েছেন। যার মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসকও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা এই কাজটি করতে গেলেন কেন, তার উত্তর খোঁজার কাজ চলছে। এতে অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে। 

    সিবিআইয়ের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালের এক শীর্ষকর্তা তরুণীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ এসেছিলেন হাসপাতালে। তাঁর পরপরই অন্য আধিকারিকরা এসে গিয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বললেও তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, কেউ এত তাড়াতাড়ি আসেননি। ন’টার পরই এসেছিলেন। অর্থাৎ সরকারিভাবে যখন দেহ পড়ে থাকার খবর এসেছিল, সেই সময় তাঁরা উল্লেখ করছেন। এখান থেকে অফিসাররা বুঝতে পারছেন, কোনও কিছু গোপন করতে চাইছেন সকলে। তাই প্রত্যেকের গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলে অফিসাররা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকদের আনতে কখন গাড়ি গিয়েছিল এবং গাড়ি কখন ঢুকেছিল আর জি করে। 
  • Link to this news (বর্তমান)