• ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্তাই শুনছে না, আমাদের কথা শুনবে?’ওপিডির লাইনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন মানুষের
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধ, সুপ্রিম কোর্টের বার্তা, কোনও কিছুই কানে আসছে না জুনিয়র পড়ুয়াদের। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগীর পরিজনদের মুখে মুখে সেকথাই ঘুরছিল। এদিনে ওপিডির লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষের মুখে মুখে শুধু একটাই কথা, ‘কবে উঠবে আন্দোলন?’ আবার কাউকে বলতে শোনা গেল, ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্তাই শুনছে না। আমাদের কথা শুনতে যাবে কেন?’

    পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। হাওড়ার পাঁচলা থেকে এসেছিলেন রীতা মণ্ডল। পায়ে ব্যথা। অর্থোপেডিক ওপিডিতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘এখানে দাঁড়িয়েই ব্যথা আরও বেড়ে গেল। শুনছি তো ভিতরে কোনও ডাক্তারই নেই।’ খবর হল, এদিন অর্থোপেডিকে তিনজন সিনিয়র চিকিত্সক ছিল। তাঁরাও সকাল ১০টার পর এসেছেন। তাই এতখানি লাইন পড়ে গিয়েছে। কী মনে হচ্ছে এবার কি আন্দোলন উঠিয়ে দেওয়া দরকার? রোগী নিয়ে আসা এক পরিজন বলছিলেন, ‘আমরা তো এত কথা বুঝি না। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের চিকিত্সার জন্য সরকারি হাসপাতালেই আসতে হয়। খবরে শুনছি, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আন্দোলন তুলে নিতে। তারপরেও তো ওঁরা আন্দোলন করছেন। আমরা কী চাই না চাই, সেটা কি ওঁরা শুনবেন?’ ডোমজুড় থেকে রোগী নিয়ে এসেছিলেন এক অ্যাম্বুলেন্স চালক। তিনিও এইসব দেখে বিরক্ত। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ওই চিকিত্সকের সঙ্গে যা হয়েছে, একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের চরমতম শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু তার জন্য রোগীদের কেন শাস্তি পেতে হবে? বিদেশে তো লোকে হাতে কালো ব্যান্ড পরে প্রতিবাদ জানায়। এখানে সেরকম হচ্ছে না কেন?’ 

    প্রশ্ন অনেক। সকলেরই অনুরোধ, পরিষেবায় ফিরুক চিকিত্সকরা। কিন্তু কে কার কথা শোনে! অবস্থান মঞ্চের পাখার পাশ থেকে তাঁরা তো নড়ছেন না।     
  • Link to this news (বর্তমান)