নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মোটর সাইকেল কেনার জন্য ৫০ হাজার দিতে শ্বশুরবাড়ির উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল স্বামী। সেই টাকা না মেলায় স্ত্রীর উপর চলেছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্ত্রী মিতা দাস ওরফে টগরী (২৬)। ঘটনার ১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার স্বামী মিহির দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিল আলিপুরের দায়রা আদালত। এই মামলায় প্রমাণের অভাবে রেহাই পেয়েছেন মৃতার শাশুড়ি। বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয় অভিযুক্ত শ্বশুরের। সরকারি আইনজীবী সুব্রত দে বলেন, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৬ সালে তিলজলা থানার হাটগাছিয়া এলাকায়। ওই ঘটনায় মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্ত স্বামী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় মিহির দাসের সঙ্গে মিতার। তাঁদের এক সন্তান আছে। বিয়েতে দান সামগ্রী দেওয়া হয় যথেষ্ট। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্ত্রীর উপর চাপ দিত স্বামী। স্ত্রী এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। অভিমানে স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন।