• মহিলার গলায়, ঘাড়ে ৬টি কোপ, নিখোঁজ শিশুর দেহ মিলল খালে
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আনন্দপুরে ট্যাক্সির মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন করা হয় নারকেলডাঙার মহিলাকে। অভিযোগ, ট্যাক্সিচালক একের পর এক ছুরির কোপ বসায় মহিলার শরীরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মৃত রেহানা পারভিন ওরফে বেবির শরীরে ছ’টি গভীর ক্ষত রয়েছে। গলায়, ঘাড়ে, কাঁধে পরপর ছুরির কোপ মারে অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক ভিকি সাউ। তার জেরেই গোটা ট্যাক্সি ভেসে যায় রক্তে।

    বুধবার ভোরে আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙার সবুজপল্লিতে রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে রেহানার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার রাতেই বাইপাসের ধারে ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে খুন করা হয় মহিলাকে। এরপর তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয় আনন্দপুরে। অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালক ভিকি সাউ ও তার সঙ্গে থাকা এক নাবালককে পাকড়াও করে আনন্দপুর থানার পুলিস। ঘটনার সময়ে রেহানার সঙ্গে ছিলেন তাঁর পাঁচ বছরের নাতি। বুধবার সকালে রেহানার দেহ মিললেও পাওয়া যায়নি ওই শিশুকে। জেরার মুখে ধৃতরা জানায়, রহানা পারভিনকে খুন করার পর তাঁর নাতিকে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ভিকিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাইপাসের ধারে আম্বেদকর ব্রিজের তলায় শিশুটিকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় তারা। বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দপুর খাল থেকে শিশুর দেহ মেলে। লালবাজার জানিয়েছে, শিশুর দেহের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। জলে ফেলে দেওয়ার জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিসের। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

    আনন্দপুরে এই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, খুনের কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। অভিযুক্ত ভিকি জেরার মুখে বার বার তার বয়ান বদল করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সে জানিয়েছে, রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যাওয়ায় রেহানা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তার জেরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাগের বশে ছুরির কোপ বসায় সে। তার এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। এই খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। টাকার লেনদেনের জেরে এই ঘটনা কি না, তাও যাচাই করছেন গোয়েন্দারা।
  • Link to this news (বর্তমান)