• আরজি করের দায়িত্বে নবনিযুক্ত কর্তারা, রোগী ভোগান্তি চলছেই
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে বুধবার রাতেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আরজি করের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ চার পদাধিকারীকে। নব নিযুক্ত পদাধিকারীরা বৃহস্পতিবারই কাজে যোগ দিয়েছেন। নতুন যোগ দেওয়া অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপাধ্যক্ষ তথা সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই জানিয়েছেন, আরজি কর কলেজের যে গৌরব ছিল, নিশ্চিত ভাবেই তা ফিরে আসবে।সেটাই তাঁদের প্রধান কাজ। এর পাশাপাশি পড়ুয়া-চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের মনোবল ফেরানো এবং যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। আগের পদাধিকারীদের নিয়ে এই হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের যে ক্ষোভ ছিল, নব নিযুক্ত পদাধিকারীদের নিয়ে এ দিন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা কোনও আপত্তি জানাননি।

    তবে দাবি মিটলেও এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের কাজে ফিরতে বললেও এ দিনও কাজ থেকে দূরেই রইলেন চিকিৎসকেরা। ফলে হাসপাতালে রোগী দুর্ভোগের চিত্রটা বদলালো না এ দিনও। জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের পাঠানো হলো ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ে। সেখানে কারও চিকিৎসা হলেও কাউকে পাঠানো হলো অন্য হাসপাতালে।

    এ দিন কাজে যোগ দিয়ে মানস এবং সপ্তর্ষি সিআইএসএফ-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সপ্তর্ষি বলেন, ‘বাঁকুড়া থেকে এসেই কাজে যোগ দিয়েছি। আমি আন্দোলনকারী নার্স ও চিকিৎসক সকলের সঙ্গে পরিচিত৷ তাঁরা আরজি কর হাসপাতালকে আমার থেকেও ভালো চেনেন। হাসপাতালের প্রত্যেক কর্মীকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

    আন্দোলন প্রসঙ্গে সপ্তর্ষির বক্তব্য, ‘ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলব। ওদের সমস্যা কী, ওরা কী চায়, সব জানতে হবে। আগে হাসপাতালের ভূগোল বুঝি, কোথায় কোথায় নিরাপত্তা বেশি দরকার যেগুলো জেনে, বুঝে কাজ হবে।’ তবে হাসপাতালে রোগী ভোগান্তি চলছেই। ভাঙচুর চালানোর পরে ইমার্জেন্সি বিভাগ বন্ধ। রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ট্রমা কেয়ারে।

    এ দিন দুপুরে নদিয়া থেকে প্রায় মুমুর্ষু এক রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হলেও ট্রমা কেয়ারেও তাঁর চিকিৎসা করানো হয়নি। উপায়ান্তর না দেখে তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। চিৎপুরের বাসিন্দা উমা দাস আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর আত্মীয়েরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

    কিন্তু তাঁকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উমার আত্মীয় সান্ত্বনী দাস বলেন, ‘ওখানে বসে আছে ওঁরা তো ডাক্তার। একটু দেখে দিতে বলুন না। শেষ পর্যন্ত অচেতন উমাকে ট্রমা কেয়ারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
  • Link to this news (এই সময়)