• হাতির মৃত্যুর বিচার চেয়ে মিছিলের ডাক কলকাতায়
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী-চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির বিরুদ্ধে জাস্টিস চেয়ে যখন পথে নামছেন শহরবাসী, তখনই আর একটি জাস্টিস চেয়ে সুর চড়ছে। ঝাড়গ্রামে একটি হাতির মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার বিকেল চারটেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।ছাত্রছাত্রী, পশুপ্রেমীদের পাশাপাশি এই মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা নাগরিক সমাজের অনেকের। কয়েক দিন আগে ঝাড়গ্রামে একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে আগুনের শলাকা গেঁথে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চোখের সামনে তা দেখেও চুপ করে ছিলেন বন দপ্তরের কর্তারা। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার বাড়ির অদূরে এ ভাবে একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

    এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা, পরিচালক-অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আরজি করের জাস্টিস যেমন চাই, তেমনই ওই মৃতা হাতির সঙ্গে যা ঘটেছে, আমরা তা নিয়েও প্রতিবাদ দৃঢ় করতে চাই। ওরা কথা বলতে পারে না, ভোট দেয় না বলে কি ওদের স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার অধিকারটুকু নেই?’

    এই আন্দোলন ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে বাংলার নানা প্রান্তে। ২৪ অগস্ট ঝাড়গ্রামেও জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার বন দপ্তরের অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। আন্দোলনে প্রথম থেকেই শরিক, প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী নীলাব্জ নিয়োগীর কথায়, ‘এ ভাবে আগুনের শলাকা বা গোলা মারা আইনত নিষিদ্ধ। বন দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে।’

    মিছিলে যাবেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তও। তাঁর বক্তব্য, ‘আরজি করের মেয়েটির মতোই এই হাতিটিও একটি মেয়ে। পেটে চার মাসের বাচ্চা ছিল। আমাদের কোনও অধিকার নেই এ ভাবে কোনও প্রাণীকে মেরে ফেলার।’ এই আন্দোলনে সঙ্গে রয়েছে ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ গণসংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সৌম্য দত্তরাও। তাঁরাও বন দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে মন্ত্রী বিরবাহার বক্তব্য, ‘আমরা ইতিমধ্যে দু’জনকে অ্যারেস্ট করেছি। আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ঘটনাটা আমার বাড়ির সামনে না হলেও দুঃখজনক হতো। কিন্তু যে ভাবে এখন হাতি তাড়ানোর জন্য বন দপ্তর ও হুলা পার্টির উপরে মানুষ চাপ দেয়, সেটা চলতে দিলে হবে না। আমরা নিয়ম করব হাতি বেরোলে তার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও জনতা যেন থাকতে না পারে। হুলা পার্টি এবং বন দপ্তরকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে।’

    তিনি জানান, অন্য রাজ্যে লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতি কী ভাবে তাড়ানো হয়, তা দেখা হচ্ছে। হুলা পার্টির কর্মীদেরও বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)