• নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল সিআইএসএফ, তিন শিফ্টে ১৫০ জওয়ান
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। জুনিয়র চিকিৎসকরা উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য আর জি কর হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল সিআইএসএফ। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে আর জি করে চলে আসে প্রায় দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের ১৫১ জনকে আর জি করের ২৫টি পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে। তিনটি শিফটে কাজ করবেন জওয়ানরা। সিআইএসএফের ডিআইজির নেতৃত্বে এদিন দফায় দফায় হাসপাতাল চত্বরে টহলদারি চালান তাঁরা। হাসপাতালের ছ’টি গেট, বয়েজ ও গার্লস হস্টেল, ইমারজেন্সি বিল্ডিং সহ সব জায়গার নিরাপত্তা সামলাবে সিআইএসএফ। 

    ৯ আগস্ট ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাজনৈতিক বিক্ষোভ থেকে শুরু করে দুষ্কৃতী হামলা— সবকিছু ঘটতে থাকে আর জি করে। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর হাসপাতালের সবকটি গেট নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলে কলকাতা পুলিস। দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয় মেইন গেটের একাংশ। এদিন সিআইএসএফ দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই ব্যারিকেড খুলে দেয় কলকাতা পুলিস। তারপর কেন্দ্রীয় জওয়ানরা প্রতিটি গেটে চারজন করে পাহারায় নিযুক্ত হন। একই সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক মহিলা সিআইএসএফও মোতায়েন করা হয় গার্লস হস্টেলের সামনে। তবে সিআইএসএফ দায়িত্ব নেওয়ার পরও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, সিআইএসএফ তো আপৎকালীন সময় নিরাপত্তা দেবে। তারা তো অনন্তকাল ধরে থাকবে তা নয়। কলকাতা পুলিসই তো থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে। তাহলে নিরাপত্তার যে গাফিলতির জন্য খুন ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটল, রাতের অন্ধকারে ভিতরে ঢুকে হাসপাতাল ভাঙচুর করা হল, তার বিচার কে করবে? সেই বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)