• জমিদাতাদের ক্ষোভে আটকে জল প্রকল্পের কাজ, জট কাটল বৈঠকে
    বর্তমান | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: পরিস্রুত আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই কাজ থমকে ছিল। অবশেষে এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এল প্রশাসন। বুধবার জেলা প্রশাসনের তরফে এক প্রতিনিধিদল বসিরহাট ২ ব্লকে একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে সমস্ত জট কেটে গিয়েছে বলেই দাবি দপ্তরের।

    বসিরহাট ২ ব্লকের ধান্যকুড়িয়া, চাঁপাপুকুর ও শ্রীনগর মাটিয়া– এই তিনটি পঞ্চায়েতে মোট চারটি ওয়াটার রিজার্ভার তৈরি হওয়ার কথা। মাটির নীচ থেকে জল উত্তোলন করে তা আর্সেনিকমুক্ত করে রিজার্ভারে জমা থাকবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের জলস্বপ্ন প্রকল্পে এই উদ্যোগ নিয়েছে পিএইচই দপ্তর। কিন্তু এই রিজার্ভার তৈরির কাজই থমকে। এই নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দরবার করেন এলাকার মানুষজন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে মোটা টাকা দিয়ে জল কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে মানুষকে। কারণ, এই এলাকায় নলকূপ থেকে যে জল ওঠে, তা ভালোরকম আর্সেনিকযুক্ত।

    ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি, শ্রীনগর-মাটিয়াতে একটি ও চাঁপাপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুটি রিজার্ভার হওয়ার কথা। দু’টি রিজার্ভারে তৈরির ক্ষেত্রে জমি-জটিলতা রয়েছে। অভিযোগ, জমি মালিকরা সঠিক দাম না পাওয়ায় কাজে বাধা দিচ্ছেন। বাকি দু’টি রিজার্ভারের ক্ষেত্রে এলাকার মানুষের আপত্তি রয়েছে। বুধবার বিকেলে এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার বাসিন্দা, ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। জমির মালিকদের উপযুক্ত দাম দেওয়া নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা যে অজুহাতে কাজে বাধা দিচ্ছিলেন, সেই বিষয়টিও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, জমি মালিকরা জমির সঠিক দাম না পাওয়ায় কাজ চালু করতে দেননি। সমস্যা ছিল, এদিন মিটিংয়ে সেই জট কাটানো গিয়েছে। ওঁদের জানানো হয়েছে, দ্রুত কাগজপত্র জমা দিলে তাঁরা জমির ন্যায্য দাম পাবেন। এর ফলে আমরা এলাকার মানুষের কাছে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারব। রিজার্ভারের কাজও দ্রুত শেষ করার কথা বরাত পাওয়া ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)