• ৩ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
    এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • ২০১৪ সালের পর ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। প্রশ্নপত্র যাচাইয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।এই মামলায় এবার তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে বিশেষজ্ঞ এই কমিটিতে থাকবেন। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখবে, নির্দেশ এমনটাই। অর্থাৎ প্রশ্ন ভুল ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির উপর।

    এর আগে প্রশ্নপত্র যাচাই করার জন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের আর্জি ছিল, প্রশ্ন আদৌ ভুল ছিল কিনা সেই প্রসঙ্গে তদন্ত করার বিষয়ে উপযোগী পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটি। কারণ তারাই এতদিন ধরে এই কাজ করছে।

    কিন্তু, এবার এই মামলায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ নিয়েও বিস্তর 'বিতর্ক' তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালের নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিকে। ২০১৪ সালে ৬টি প্রশ্ন ভুলের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তা নিয়ে বিস্তারিত আইনি লড়াই চলে। সমস্ত চাকরিপ্রার্থীকেই ভুল প্রশ্নগুলির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের কটাক্ষ, '২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে যতগুলি টেট পরীক্ষা রয়েছে সেই সবগুলিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছে, মামলা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মনোবল ভাঙছে এই ধরনের অভিযোগে।’
  • Link to this news (এই সময়)