এই সময়, ভাঙড়: সিগন্যাল ভেঙে বাইক এগিয়ে যাওয়ায় ট্র্যাফিক পুলিশ হাত দেখিয়ে সেটিকে থামিয়েছিল। পুলিশ বাইক থামাতেই দু’জনের মধ্যে এক আরোহী বাইক থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালান। তাতেই সন্দেহ হয় ট্র্যাফিক পুলিশের। এর পরেই বাইক চালককে ধরে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল ভরা একটি ব্যাগ।বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী রাজ্য সড়কের ঘটকপুকুর চৌমাথায়। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাগটির মধ্যে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল থরে থরে সাজানো ছিল ২১ লক্ষ টাকা। কার টাকা, কোথা থেকে এল— সে বিষয়ে বাইক চালক কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে ভাঙড় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে গ্রেপ্তার করা হয় কুতুবউদ্দিন লস্কর নামে ওই যুবককে।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন সফিকুল লস্কর নামে আর এক যুবক। বাইক থেকে পালানো সেই সফিকুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। দু’জনেরই বাড়ি ঘুটিয়ারি শরিফের মাখালতলায়। এ দিন দুপুরে একটি বাইকে করে দুই যুবক সোনারপুরের দিক থেকে ভাঙড়ের দিকে আসছিলেন। পথে ঘটকপুকুর চৌমাথায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মেনেই বাইক নিয়ে ছোটেন তাঁরা।
পুলিশ বাইকটিকে দাঁড় করাতেই পিছনে বসা যুবক বাইক থেকে নেমে পালান। বাইকটি আটক করে পুলিশ। তল্লাশির সময় গাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি টাকা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, কালো প্লাস্টিকে মুড়ে ব্যাগে করে বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে ভাঙড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশের তৎপরতায় বিপুল পরিমাণ এই টাকা উদ্ধার হয়। ঘটকপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি মিদ্যা ইমামুদ্দিন অভিযুক্ত বাইক চালক এবং ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে ভাঙড় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনায় বাইক চালক কুতুবউদ্দিন লস্করকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানার চেষ্টা করছে এই কুতুবউদ্দিনের সঙ্গী সফিকুল লস্কর পুলিশকে দেখে পালিয়ে গিয়েছেন কেন? সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’জনেই ঘুটিয়ারি এলাকায় মাদক কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। এই বিপুল পরিমাণ টাকা মাদক কেনাবেচার উদ্দেশ্যে নাকি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নাকি অন্য কোনও বেআইনি কাজের জন্য এই টাকা ব্যবহার হতো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।