এই সময়, চাকলা: দেগঙ্গার চাকলা মন্দিরের ৫১ বছর হলো। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আগামী ২৫ এবং ২৬ অগস্ট মন্দিরে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। ভক্তদের নিরাপত্তা, গাড়ি পার্কিং-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি নিয়ে চাকলা মন্দির কমিটির সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করলেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদি, পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া।বৈঠকে পিডব্লিউডি ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘ওই দুদিন মন্দির চত্বরে এবং বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’ চাকলা লোকনাথ মন্দিরে যশোহর রোড ধরে বিড়া, বদর হয়ে পুণ্যার্থীরা আসেন। বেড়াচাঁপার টাকি রোড ধরে মাটিকুমড়া হয়েও পুণ্যার্থীরা আসেন। আগামী রবিবার জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতে এবং সোমবারেও লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে মন্দিরে।
মূলত কলকাতার বাগবাজারের গঙ্গার ঘাট, ব্যারাকপুরের মণিরামপুর, দাসপুর ঘাট, ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাট, নৈহাটি এবং বসিরহাটের ঘাট থেকে স্নান সেরে ভক্তরা পায়ে হেঁটে চাকলা মন্দিরে আসেন। যশোহর রোড ও টাকি রোডে যানজট সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ভিড় সামাল দিতে মন্দির কমিটি এবং পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হয় এ দিনের বৈঠকে।
মন্দিরে প্রবেশের জন্য তিনটি এবং বের হওয়ার জন্য তিনটি গেট থাকছে। মন্দিরের ভিতরে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মন্দিরের ভিতরে এবং বাইরের একাধিক জায়গায় বসানো হবে মেটাল ডিটেক্টর। ভক্তদের কেউ অসুস্থ হলে, তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মন্দির কমিটির চিফ পেট্রন নবকুমার দাস বলেন, পুলিশের পাশাপাশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবেন।