• আরজি কর-এর সেই অরুণাভ মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ, পড়ুয়ারা বলছেন, 'ঢুকতে দেব না'
    আজ তক | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অধ্যাপক অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে নিয়ে এবার মালদা মেডিকেল কলেজে জটিলতা। তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়ারা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি মেনে বদলি করা হয় আরজি করের প্রিন্সিপ্যাল সহ চার আধিকারিককে। মালদা মেডিকেলে বদলি করা হয়েছে অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে।

    যদিও তাঁকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, 'তাঁকে কোনওমতেই মালদা মেডিকেলে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। ওনার যদি কোনও গাফিলতি না থাকত, তবে মালদা মেডিকেলে ট্রান্সফার করা হত না। মালদার মতো ছোট মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে বিষয়টিকে চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। উনি এলে আমরা একত্রিত হয়ে লড়াই করব।' এই বিষয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীর বদলির অর্ডারের কপি তিনি এখনও হাতে পাননি।

    আরজি কর-কাণ্ডে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ক্রাইম সিনের পরিবর্তন করা হয়েছে। নির্যাতিতা ডাক্তারের পরিবারকে আত্মহত্যার কথা বলে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্টে এই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সোমবারের শুনানিতে আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে তদন্ত নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

    আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও বৃহস্পতিবার রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সিবিআই-র স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে সিবিআই বলেছে যে এই পুরো মামলার ব্যাপারে হাসপাতাল প্রশাসনের মনোভাব উদাসীন। নিহতের পরিবারকে ঘটনাটি দেরিতে জানানো হয়। আত্মহত্যার কথা প্রথমে পরিবারকে জানানো হয়। হত্যাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা সন্দেহের সৃষ্টি করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আদালত তখন বলে, পুলিশ ডায়েরি এবং ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অভিযুক্তের মেডিকেল টেস্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
  • Link to this news (আজ তক)