'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার না চাইলে ফেরতের ব্যবস্থা করুক সরকার', খোঁচা কুণালের
এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৪
'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির সুবিধা যাঁরা আর নিতে চাইছেন না, তাঁদের ফেরত দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, এবার এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরব সমস্ত মহল। বিরোধীদের একাংশ 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রশ্ন ছুড়েছিল, 'বাংলায় লক্ষ্মীরা আদৌ সুরক্ষিত তো?' যদিও আরজি করের ঘটনায় রাজনীতি সরিয়ে রেখে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছিল তৃণমূল। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধীদের একাংশ 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'কন্যাশ্রী'-র মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ?
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে, ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন।' কুণালের সংযোজন, 'আমরাও আরজি করের দোষী/দের ফাঁসি চাই। কুরাজনীতি নয়।'
কুণালের পোস্ট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ বলেন, ‘এই সমস্ত আবোল-তাবোল কথাবার্তা। ওঁদের দলের সরকার রয়েছে। তাই তিনি কী বলতে চাইছেন মানুষ ঠিক বুঝে নেবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'কন্যাশ্রী', 'রূপশ্রী'-র মতো মহিলাদের কল্যাণে তৈরি প্রকল্পগুলির বিরোধিতা করছিলেন অনেকেই। এর নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের একাংশ।
রাজ্যের শাসক দলের এক নেতার কথায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুরু করা এই প্রকল্পগুলি যে মহিলাদের কল্যাণ করেছে, তা বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজনীতি না করার আর্জি জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও অনেকে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। তাঁরাই এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।' তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার অবশ্য কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।