অশোকনগরে কিশোরী-সহ একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু
এই সময় | ২৩ আগস্ট ২০২৪
একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। বাবা-মা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘর থেকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের নবপল্লী এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শুক্রবার অশোকনগর থানার গুমা নবপল্লী এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম দীপক রায় (৪৩), প্রিয়া রায় (৩৮) ও মিষ্টি রায়(১০)। এদিন সকালে স্থানীয়রা তাঁদের ডাকাডাকি করে প্রথমে কোনও সাড়া পাননি। ঘরের ভেতর থেকে যখন কোনও উত্তর না আসে, তখন দীপককে ফোন করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতেও কোনও উত্তর না মেলায় দরজা খুলে স্থানীয়রা তিনজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে দাবি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া অশোকনগর থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অশোকনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় 'ভালো মানুষ' বলেই পরিচিত ছিলেন দীপক। গুমা নবপল্লী এলাকায় গত চার বছর ধরে দীপক নিজের পরিবারকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়দের দাবি, খুব ভালো পরিবার ছিল, কোন অশান্তি ছিল না এই পরিবারের মধ্যে। স্থানীয়রা আরও জানায়, দীপক রায়-এর আদি বাড়ি বাংলাদেশে। নবপল্লী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। দীপক কাঠের সামগ্রী তৈরির কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, লোন সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় মানসিক অবসাদে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে। যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে লোনের কথাই উল্লেখ করা আছে। এদিন তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে অশোকনগর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বোঝা যাবে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে।
বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখাড়িয়া একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, নবপল্লী এলাকা থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘর থেকে উদ্ধার হাওয়া সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা রয়েছে, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।