• ‘‌লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফেরত ফর্ম দিক রাজ্য সরকার’‌, বিকৃত বিপ্লবীদের বার্তা কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। এই আবহে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কটূক্তি, মিম ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ লিখেছেন, মেয়েদের এবার লক্ষ্মী নয় কালী তৈরি করতে হবে। কেউ লিখেছেন, এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগে ভেবে নেবেন বাড়ির লক্ষ্মীরা সুরক্ষিত থাকবে কিনা। অনেকে আবার ফেরত দেওয়ার নিদানও দেন। এবার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ও রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পে যাঁরা থাকতে চাইছেন না, তাঁদের তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো?‌ এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এবার কুণালের এই বক্তব্যে যাঁরা এমন মন্তব্য করছিলেন তাঁরা বেশ চাপে পড়ে গেলেন। কারণ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‌যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পে থাকতে চান না, তাঁদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফেরত কাউন্টার থাকুক। ফেসবুকে বিকৃত বিপ্লবী না সেজে ফেরত ফর্ম ফিল আপ করুন।’‌

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আজও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে আজ কুণালের এমন আবেদন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই ঘটনার পর বেশ কিছু মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, হাজার টাকায় আর কি বা হয়। কিন্তু কেউ ছাড়বার কথা বলছেন না। বরং রাজ্য সরকার নিজে থেকে বন্ধ করলে তাতে আপত্তি নেই বলছেন। কুণালের কথায়, ‘‌আমরাও আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাই। কিন্তু কুরাজনীতি নয়।’‌ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সামাজিক প্রকল্প জনপ্রিয় হয়েছে। তার মধ্যে একটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যেখানে সাধারণ মহিলারা হাজার টাকা করে মাসে পান। আর তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পান।

    শহর এবং গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর তাঁরা এই পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে পথে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে। কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে সবুজসাথী, খাদ্যসাথী একাধিক প্রকল্প মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে তাঁকে এবং তাঁর প্রকল্পগুলিকে অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই কুণাল ঘোষের এই এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট বিপ্লবী মহিলাদের কাছে অখুশির বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)