• তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাতিল করেছিলেন সন্দীপ, আরজি কর হাসপাতালের পর্দাফাঁস
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। এই আবহে এবার নয়া তথ্য সামনে চলে এল। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ অনেক কিছুর সঙ্গে জড়ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। এখানে টাকার খেলা চলত। যারা বুঝতে পারত তারা বহাল তবিয়তে থাকত। আর বাকিরা বোঝেনি। তাই তাদের ঠাঁই হয়েছে উত্তরবঙ্গে। না হলে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত চার বছরে অন্তত তিনটি ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়াল বাতিল করার পিছনে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো?‌ এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এবার সামনে এসেছে, ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়াল সফল করতে তা বেশি করে করা উচিত। তাহলে নতুন ওষুধ বেশি করে খোলা বাজারে আসবে। তাতে বহুজাতিক কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত‌্য কমবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তখন টিকে থাকতে গেলে মূল উৎপাদক সংস্থাকে দাম কমাতে হবে। কিন্তু এসব জেনেও তা করতে দেননি সন্দীপ ঘোষ বলে অভিযোগ উঠেছে।

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আজও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে আজ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়ালের জন‌্য দেশের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ‘ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে অনুমোদন মেলে। তারপর ক‌্যানসারের ওষুধের ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়াল করতে কলেজের এথিক্স কমিটির অনুমোদন মেলে। এমনকী রোগী কল‌্যাণ সমিতি থেকেও অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন প্রিন্সিপ‌্যাল ডা.সন্দীপ ঘোষ সেই অনুমোদনে স্বাক্ষর করেননি। যা আজও সবাই জানেন। এরপরও আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান অধ‌্যাপক ডা. রঞ্জন দাশগুপ্ত ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের জন‌্য বেশ কয়েকবার অধ‌্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে অনুরোধ করেছিলেন। প্রথম ট্রায়ালটি হলই না। উলটে এক প্রবীণ বিশেষজ্ঞকে জেলায় বদলি করা হয়েছিল।

    শহর এবং গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর তাঁরা এই পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে পথে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সন্দীপ ঘোষ করতে দেয়নি কারণ সেখান থেকে টাকা মেলেনি বলেই। রেডিওলজি বিভাগের ঘর ক্লিনিক‌্যাল ট্রায়ালের জন‌্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেটা হঠাৎই রাতারাতি খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর পুলিশের হমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। আজকে নিয়ে অষ্টমবার সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন তিনি। সিবিআইকেই সমস্ত তদন্ত করতে আজ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আরও তথ্য কি সামনে আসবে?‌ সেটা সময়ই বলবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)