• ‘‌এবার ডাক্তাররা কাজে ফিরুন’‌, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অনুরোধ স্বাস্থ্য সচিবের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। তারপর থেকে চলছে লাগাতার আন্দোলন। কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করেছেন চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে। কিন্তু লাভ হয়নি। আজ, শুক্রবার আবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানালেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো?‌ এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এই আবহে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে। তাই এবার রোগী স্বার্থের কথা ভেবে অবিলম্বে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের অনুরোধ করছি।

    ৯ অগস্টের পর থেকে ছাত্রীরা হস্টেল ছাড়তে শুরু করেন। অনেকের অভিভাবক এসে নিয়ে যান ছাত্রীদের। তবে বেশি হারে হস্টেল ছাড়া শুরু হয় হাসপাতালে ঢুকে গুন্ডাদের হামলার ঘটনার পর। কারণ এই আবাসিক মেয়েরা নিজের চোখের সামনে দেখেছেন সেদিনের তাণ্ডবলীলা। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‌গত ৯ অগস্টের ঘটনা দুর্ভাগ্য়জনক। রাজ্য সরকার এই ঘটনার খুব সমালোচনা করেছে। আমরা ঘটনার যথাযথ তদন্তের পক্ষে। গত ১৩ অগস্টের নির্দেশ অনুযায়ী এখন ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলার দিকে নজর রেখেছে। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এবার ডাক্তাররা কাজে ফিরুন।’‌

    শহর এবং গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর তাঁরা এই পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে পথে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের বক্তব্য, ‘‌রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘রাত্তিরের সাথী’র মতো অ্যাপ চালু করা হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং মহিলা নিরাপত্তারক্ষীও রাখা হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির মেরুদণ্ড। আমাদের সকলের অনুরোধ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি কাজে ফিরুন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)