লোকলস্কর নিয়ে শনিতে লালবাজারে হাজিরা দেবেন মিনাক্ষীরা, ১ সেপ্টেম্বর সমাবেশের ভাবনা সিপিএমে
আনন্দবাজার | ২৩ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের ছাত্র-যুব নেতানেত্রীদের নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। শনিবার সেই নোটিস নিয়ে লালবাজারে যাবেন মিনাক্ষীরা। শুক্রবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকের মাঝেই সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তা ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বড় সমাবেশের পরিকল্পনা করছে সিপিএম। যদিও শুক্রবার সে ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা করেননি সিপিএম নেতৃত্ব। সেলিম বলেছেন, ‘‘আমরা চাই বামফ্রন্ট এবং বামফ্রন্টের বাইরের দলগুলি মিলে ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বড় সমাবেশ করতে। তবে সবটা ফ্রন্টে এবং অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে।’’
১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর হিটলারের বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করেছিল। সেটাকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হিসাবে ধরে আন্তর্জাতিক স্তরের বাম, কমিউনিস্ট এবং সমাজতান্ত্রিক দলগুলি। বাংলাতেও দীর্ঘ দিন ধরে ১ সেপ্টেম্বর ‘যুদ্ধবিরোধী শান্তি দিবস’ তথা ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস’ হিসাবে পালন করে বামেরা। কলকাতায় মিছিলও করে তারা। সেলিম বলেছেন, ‘‘এ বারের ১ সেপ্টেম্বরকে আমরা দেশ এবং রাজ্যের শান্তির জন্য পালন করতে চাই। আরজি করের বিচারের দাবিই মুখ্য হওয়া উচিত। সেই মর্মেই আমরা বামফ্রন্টে আলোচনা করব।’’ নিন্দকেরা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ নামক শব্দবন্ধ নিয়ে সিপিএম সারা বছর যত বাক্য ব্যয় করে, তত ভোটও তারা পায় না। শুক্রবার সেলিম যা বলেছেন, সেই বিষয়টিতে দলেরই অনেকে বলছেন, সময়ের দাবিতে বাস্তবসম্মত ভাবনা ভেবেছে দল।
সমাজমাধ্যমে ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগে অনেককে নোটিস পাঠিয়েছে লালবাজার। যাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই তাঁদের সাহায্য করার জন্যও হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছিল। সেলিমের দাবি, সেখানেও অনেকে নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাঁদের সবাইকে নিয়ে, আইনজীবীদের সাহায্য নিয়ে শনিবার মিনাক্ষীরা লালবাজারে যাবেন। সেলিমের কথায়, ‘‘যে নোটিস কলকাতা পুলিশ দিয়েছিল, শনিবার ওই নোটিস লালবাজারে গিয়ে লেপে দিয়ে আসা হবে।’’
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। শুক্রবার আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলার তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশিই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কেও। সেলিম বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপরেও আমাদের নজর থাকবে। আদালতের নজরদারিতে যেমন তদন্ত হচ্ছে, তেমনই সেই তদন্তে জনতার আদালতের নজরদারিও রাখতে হবে।’’ তদন্তে অগ্রগতি না হলে খুব তাড়াতাড়ি সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেলিম।