• '১৪ দিন হয়ে গেল, এবার...' কাঁদতে কাঁদতেই বড় কথা জানালেন আরজি করের নির্যাতিতার মা!
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ আগস্ট ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: আরজি করের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এবার যোগ দেবেন নির্যাতিতার মা। আরজি করে গিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পাশে বসে বিচার চাইবেন নিহত চিকিত্‍সক-পড়ুয়ার মা। এদিন জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্‍কারে তিনি বলেন,"১৪ দিন হয়ে গেল। আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না। আমার মেয়ের বিচার চাই। আমিও যাব। আমিও গিয়ে বসব ওদের সঙ্গে।"

    এদিন নির্যাতিতার মা-বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে ৩ বার ফোন এসেছিল। প্রথমবার বলা হয়েছিল, আমার মেয়ে অচৈতন্য। এই ফোন পেয়ে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। যে নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল সেখানে আবার ফোন করি। তাদেরকে বলি, কী হয়েছে মেয়ের? তারা বলেন, আমরা কি ডাক্তার যে বলতে পারবো? ওকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে ওই নাম্বার থেকে আবার ফোন আসে। বলা হয়, আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন ওখানে পৌঁছাই, তখন ওকে ইমার্জেন্সিতে দেখতে পাইনি। ওই সেমিনার রুমে ও ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে যে, যে ডাক্তাররা সারা রাত ওর সঙ্গে কাজ করছিল, তাদের সকাল পর্যন্ত একবারও মনে হল না যে ও কোথায় আছে? ওকে কেন এতক্ষণ দেখা যাচ্ছে না?"

    মৃত ট্রেইনি চিকিত্‍সকের হতভাগ্য বাবা-মা একমাত্র মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে আরও বলেন যে, "থানায় কমপ্লেইন করা নিয়ে ওই দিন আমাদের সঙ্গে পুলিসের কোনও কথা হয়নি। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ আজ পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কেউ একবারও দেখা করতে এল না আমাদের সঙ্গে। কোথাও কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই আমাদের মনে হয়। পুরো সাজিয়ে গুছিয়ে সেদিন মেয়েকে আমাদের দেখতে দিয়েছে!" তাঁরা এও জানান,"হাসপাতালে যিনি ভিপি, তাঁর আন্ডারে কোনও মেয়ে কোনওদিন কাজ করেনি। তাই আমার মেয়েকে যখন ওই গ্রুপে দেওয়া হয়, তখন ফার্স্ট ইয়ারে ও বেশ কিছুটা চিন্তিত ছিল।" ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ট্রেইনি চিকিত্‍সকের দেহ। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ-খুনের। তারপর থেকেই আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। আন্দোলন দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বিদেশেও।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)