নতুন কর্মস্থলেও বিক্ষোভ-কাঁটা, সুহৃতা পালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান বারাসত মেডিক্যাল কলেজে
প্রতিদিন | ২৪ আগস্ট ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে বারংবার বিক্ষোভের মুখে পড়ছে হাসপাতালের কর্তা-ব্যক্তিদের। এই হাসপাতালের শীর্ষপদে থাকা চিকিৎসকদের যেখানেই বদলি করা হচ্ছে, সেখানেই ছাত্রছাত্রীদের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। আর জি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ডাঃ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর স্বাস্থ্যভবনের ওএসডি পদে থাকা ডাঃ সুহৃতা পালকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই হাসপাতালের আন্দোলনকারী চিকিৎসক, নার্স, পড়ুয়াদের সমবেত প্রতিবাদের মুখে তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি। এবার তাঁর কর্মস্থল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু সেখানেও তাঁকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান (Slogan)। বৃহস্পতিবার সেখানে তিনি ঢুকতেই পারেননি। শুক্রবার অবশ্য ছাত্র বিক্ষোভ উপেক্ষা করেই অবশেষে কাজে যোগ দিলেন সুহৃতা পাল।
শুক্রবার সকালে বৃষ্টি মাথায় করেই বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের (Barasat Govt. Medical College) গেট আটকে বিক্ষোভে শামিল হন ছাত্রছাত্রীরা। হাতে পোস্টার নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। নতুন অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পালকে ‘চক্রান্তকারী’ বলেও পোস্টারে লেখা হয়েছে। এমন অধ্যক্ষকে (Principal)মানবেন না বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের বিক্ষোভে যোগ দেন এলাকার সাধারণ মানুষজনও।
বারসতের ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, ১৪ আগস্ট মাঝরাতে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ভাঙচুরের সময় এই সুহৃতা পালই দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যাপারে তিনি কোনও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেননি বলে অভিযোগ। আর তার জেরে প্রতিবাদ এত জোরাল হয়ে ওঠে যে শেষপর্যন্ত আর জি করের দায়িত্ব থেকে সুহৃতা পালকে সরিয়ে আনতে কার্যত বাধ্য হয় স্বাস্থ্যভবন। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল হিসেবে পুনর্নিয়োগ করে। কিন্তু সেখানেও তাঁর যোগদানের পথে বিক্ষোভ-কাঁটা। যদিও পড়ুয়াদের সমস্ত প্রতিবাদ এড়িয়ে শুক্রবার ডাঃ সুহৃতা পাল যোগ দিয়েছেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজে। পরবর্তী সময় অবশ্য তাঁর কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের হবে, তা এখনই স্পষ্ট।