পহেলা বাইশের সেই ২১ নম্বর সেলেই ঠাঁই ‘ধর্ষক-খুনি’র! যে সেলে একটি আত্মহত্যার চেষ্টা দেখেছিল বঙ্গ রাজনীতি
আনন্দবাজার | ২৩ আগস্ট ২০২৪
২০১৪ সালের নভেম্বরের একটি ঘটনা বঙ্গ রাজনীতিকে সরগরম করে দিয়েছিল। সারদা মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রাজ্যসভার তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সেলের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শনিবার শিয়ালদহ আদালত আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ব্যক্তিকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সেই সেলেই রাখা হয়েছে তাঁকে।
ভিআইপি ওয়ার্ডের ‘পহেলা বাইশ’-এর ২১ নম্বর সেলে জনৈক হাবিবকে রাখা হয়েছিল। শনিবার সেই হাবিবকে সরিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে আরজি কর-কাণ্ডের ধৃতকে। এই সেলের আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে। এই সেলের পিছনেই রয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের ফাঁসির মঞ্চ। উল্লেখ্য, আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষীদের ফাঁসির দাবি উঠেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে মিছিল করে দোষীদের ফাঁসি চেয়ে সরব হয়েছেন।
সারদা মামলায় কুণালকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। ২০১৪ সালে জেলবন্দি কুণাল ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। যে ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে কুণালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় মামলা দায়ের করে হেস্টিংস থানার পুলিশ। প্রেসিডেন্সি জেল ওই থানারই অধীন। জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলায় কুণাল দোষী সাব্যস্ত হন। তবে আদালত ওই মামলায় তাঁকে কোনও সাজা দেয়নি। বলা হয়েছিল, সেই সময়ে কুণালের মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না।
এমনিতে পহেলা বাইশে ‘ভিআইপি’ অভিযুক্তেরা থাকেন। এই ওয়ার্ডেরই ২ নম্বর সেলে এই মুহূর্তে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পর দু’টি সেল পেরিয়ে ৫ নম্বরে রয়েছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একটা সময়ে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঠিকানা ছিল পহেলা ২২-এর ৭ নম্বর সেল। শনিবার থেকে ২১ নম্বরে ঠিকানা হল আরজি কর-কাণ্ডের ধৃতের।